২ দিনের শিশুকে ভিনরাজ্য থেকে এ রাজ্যে এনে পাচারের চেষ্টা করা হয়েছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেই সময় হাওড়ার শালিমার স্টেশন থেকে দু‘জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। এবার সেই ঘটনার তদন্তে নেমে সিআইডি প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে এই চক্রের সঙ্গে বিদেশ যোগ থাকতে পারে।
প্রসঙ্গত, নিঃসন্তান দম্পতি সেজে সিআইডি আধিকারিকরা যোগাযোগ করেছিলেন অভিযুক্ত মানিক হালদার ও তার স্ত্রী মুকুল সরকারের সঙ্গে। শিশু নেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হলে রফা হয় চার লাখ টাকায়। এরপর গয়া থেকে শিশু কন্যাটিকে নিয়ে আসা হয় এরাজ্যে। শালিমার স্টেশনে শিশু–সহ ওই দম্পতি নামলেই তাদের ধরে ফেলেন সিআইডি আধিকারিকরা।
এরপর থেকেই আন্তঃরাজ্য শিশুপাচার চক্রের পর্দাফাঁসের ঘটনায় একাধিক তথ্য উঠে আসছে সিআইডির হাতে। জানা যায় সোশাল মিডিয়ায় চাইল্ড অ্যাডাপশন গ্রুপ বলে একটি গ্রুপ খোলা হয়েছিল। তার মাধ্যমেই শিশু পাচার চক্র চালাত পাণ্ডারা।
আর এবার শিশু বিক্রির চক্রের সঙ্গে বিদেশ যোগ থাকতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারীদের। সিআইডি জানতে পেরেছে ধৃত মানিক কয়েকদিনের ব্যবধানে কঙ্গো ও মলদ্বীপে গিয়েছিল। প্রশ্ন উঠছে, কেন একাধিকবার বিদেশ ভ্রমণ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও তদন্তকারীদের কাছে মানিক দাবি করেছে এসি মেকানিকের কাজে বিদেশ গিয়েছিল তারা। এই প্রসঙ্গে তদন্তকারীরা মনে করছেন, মূলত শিশু বিক্রি সংক্রান্ত ব্যাপারেই কথা বলার জন্য মানিক বিদেশে গিয়ে থাকতে পারে। সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে সিআইডি।