মালাবার গ্রুপের ১৫৩১টি মাইক্রো লার্নিং সেন্টারে শিশু দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠান ভারতে

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় গহনা রিটেল বিক্রেতা মালাবার গ্রুপ, ভারত জুড়ে তার ১৫৩১টি মাইক্রো লার্নিং সেন্টারে (এমএলসি) শিশু দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। সেন্টারগুলির উদ্যোগে ষাট হাজার শিশুকে নিয়ে  এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় যেখানে সিনিয়র প্রতিনিধি এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এমএলসি-র নেটওয়ার্ক জুড়ে নেতৃত্ব দিলেন। মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে শুরু হয় এই কর্মসূচির এবং সেখানে কোনও কিছু শেখা, অন্তর্ভুক্তি এবং যত্নের কথা ফুটে ওঠে অনুষ্ঠানের পরতে পরতে।

এমএলসিগুলি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাহায্য করে যারা জোর করে কাজে নিযুক্ত হয়েছিল অথবা সামাজিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কারণে স্কুল ছেড়ে দিতে হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রের তরফ এক বছরের বয়স-উপযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করে এবং শিশুদের আনুষ্ঠানিক স্কুলে ফিরে যেতে সাহায্য করে।

অভিভাবক, স্থানীয় নেতা, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা এবং মালাবার গ্রুপের টিমগুলি সেন্টারগুলিতে উদযাপনে অংশ নিয়েছিল। শিশুরা অংশগ্রহণ এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে উৎসাহিত করার জন্য পরিকল্পিত শেখার কার্যকলাপ এবং ইন্টারেক্টিভ সেশনে অংশগ্রহণ করেছিল।

পাশাপাশি এই কেন্দ্রগুলি বিশেষ ভাবে নজর দেয় ওই সব শিশুদের পুষ্টি প্রদানের ক্ষেত্রেও। যেখানে শিশুদের আরও মনোযোগ সহকারে শেখার জন্য দৈনন্দিন রুটিনের অংশ হিসেবে দুধ, ফল এবং ডিম প্রদান করে। স্থানীয় সম্প্রদায়ের প্রশিক্ষিত স্নাতকরা শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন, প্রতি চল্লিশ জন শিশুর জন্য একজন শিক্ষকের অনুপাত অনুসরণ করে। এখন পর্যন্ত, এই কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে প্রায় ত্রিশ হাজার শিশুকে আনুষ্ঠানিক শিক্ষায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মালাবার গ্রুপের চেয়ারম্যান এম পি আহমেদ বলেন, এই উদ্যোগ শিশুদের দুটি অপরিহার্য চাহিদার সাথে সংযোগ স্থাপন করে: পুষ্টি এবং শেখা। পাশাপাশি তিনি এও জানান, ‘একটি শিশু যখন নিরাপদ বোধ করে এবং যত্ন নেওয়া হয় তখন সে আরও ভালোভাবে শেখে। পুষ্টি তাদের পড়াশোনার ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে, শিক্ষা তাদের দিকনির্দেশ দেয় এবং একসাথে তারা এমন একটি ভবিষ্যত গঠনে সহায়তা করে যেখানে প্রতিটি শিশু মর্যাদার সাথে নিজেদের ভরণপোষণ করতে পারে। আমাদের মাইক্রো লার্নিং সেন্টারগুলি এই বিশ্বাসকে প্রতিফলিত করে এবং আমাদের বৃহত্তর সিএসআর প্রতিশ্রুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ গঠন করে।’এই অনুষ্ঠানের অপর একটি উল্লেখযোগ্য দিক হল, এই সেন্টারগুলি গ্রুপের ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব উদ্যোগের অধীনে কাজ করে, যা ভারতে প্রতিদিন এক লক্ষ পাঁচ হাজার খাবারের প্যাকেট বিতরণ করে এবং জাম্বিয়া এবং ইথিওপিয়ার মানুষদেরও সহায়তা করে।

শুধু তাই নয়, এই গ্রুপটি সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচিতে তিনশো ছাপ্পান্ন কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করেছে। এই প্রচেষ্টাগুলি সতেরো লক্ষেরও বেশি সুবিধাভোগীর উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। মূল লক্ষ্যের ক্ষেত্রগুলির মধ্যে রয়েছে নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা, মেয়েদের জন্য শিক্ষা বৃত্তি এবং গ্র্যান্ডমা হোম উদ্যোগ, যা বয়স্ক মহিলাদের আশ্রয় এবং যত্ন প্রদান করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 + seventeen =