হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যেই শেখ শাহজাহানকে সিবিআই-এর হাতে তুলে দিতে হবে। সেই মতো তড়িঘড়ি ভবানী ভবনে পৌঁছেও গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বহিনী। সেখানে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ভিতরেই থাকতে দেখা যায় সিবিআই আধিকারিকদের। কথা ছিল শাহজাহানকে নিয়েই বের হওয়ার। কিন্তু সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ দেখা যায়, খালি হাতেই বেরিয়ে আসছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। নেই শাহজাহান। এরপরই সিবিআই আধিকারিকরা জানান, তাঁরা হেফাজতে নিতে পারেননি শাহজাহানকে। কারণ, রাজ্য যেহেতু হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে, সেই কারণেই শাহজাহানকে আপাতত হস্তান্তর করা হল না বলে সিআইডি সূত্রে জানানো হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে সিবিআই-এর শীর্ষকর্তা জানান, শাহজাহান মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে শুনানির আবেদন করা হয়েছে। বুধবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। চূড়ান্ত শুনানি না হওয়ার জন্যই হস্তান্তর করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, প্রায় ৫৫ দিন বেপাত্তা থাকার পর গত সপ্তাহে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। আদালতে পেশ করার পর তাঁকে ভবানী ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সিআইডি হেফাজতে রয়েছেন তিনি। এরপরই মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, শেখ শাহজাহানকে হস্তান্তর করতে হবে সিবিআই-এর হাতে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘রাজ্য পুলিশ এই মামলার তদন্তের ক্ষেত্রে অতি উৎসাহী। কেন তারা অতি উৎসাহী তার কারণ তারাই ভাল বলতে পারবে।’ এছাড়া ন্যাজাট এবং বনগাঁ থানার মোট তিনটি মামলার তদন্তভার সিবিআই-কে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। পাশাপাশি, শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করতে গিয়ে ইডি আধিকারিকদের ওপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছিল, তার প্রেক্ষিতে দায়ের হওয়া মামলাও সিবিআই-কে হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরই হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য।