স্কুলের বন্ধুদের থেকে জন্মদিনের উপহার নিতে গিয়ে পুলিশকর্মীর হাতে প্রহৃত সপ্তম শ্রেণির ছাত্র

জন্মদিনে স্কুলে না গেলেও বন্ধুদের থেকে উপহার নিতে ছুটির সময় স্কুলে দেখা করতে যায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্র। স্কুলের সামনেই দাঁড়িয়ে ছিল সে। আর সেটাই বড় অপরাধ হয়ে যায়! পেট-বুক লক্ষ্য করে চলে পুলিশ কর্মীর ঘুষি। সঙ্গে হাতে-পায়ে কাটা দাগ। কোনও রকমে ওই পুলিশ কর্মীর থেকে বাঁচে কিশোর। ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে ওই সপ্তম শ্রেণির ছাত্রের পরিবার।

ঘটনাস্থল হাওড়ার জগাছা থানা। জগাছার মুচিপাড়া এলাকার বাসিন্দা সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রকে এক পুল্শ কর্মী মারধর করে বলে অভিযোগ।এরপর পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েও ফিরতে হয় পরিবারকে! এদিকে ওই স্তম শ্রেণির ছাত্রের মায়ের দাবি, অভিযোগ জানাতে চাই, ওই পুলিশ কর্মীর শাস্তি চাই।

প্রহৃত সপ্তম শ্রেণির ছাত্রের বয়ান অনুসারে, জন্মদিনের দিন বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে ও উপহার নিতে স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল সে। সেই সময় জগাছা থানার চারজন পুলিশ কর্মী হঠাৎই তাকে জিজ্ঞাসা করে সে সেখানে কী করছে। এরপর যখন ওই ছাত্র জানায় যে সে বন্ধুদের থেকে তার জন্মদিনের উপহার নিতে এসেছে বন্ধুদের কাছ থেকে।  তখনই এক পুলিশকর্মী তাকে মারধর করে বলে অভিযোগ। মদ্যপ অবস্থায় তার পিঠে-বুকে ঘুষি মারা হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি তার পায়ে একাধিক জায়গায় লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলেও দাবি করে ১৩ বছরের ওই ছাত্র।

এই ঘটনায় ছাত্রের মায়ের অভিযোগ, তিনি জগাছা থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে সেখানে পুলিশ অভিযোগ না নিয়েই তাঁদেরকে ফিরিয়ে দেয়। তিনি বলেন, ‘বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে ছুটির সময় গিয়েছিল ও। খুব মারধর করেছে ওকে। পরে ওই পুলিশকর্মীর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে দেখি, মুখ থেকে মদের গন্ধ বেরচ্ছে। পুলিশ কর্মী বলেন, ওকে ভয় দেখাচ্ছিলাম।’  পাশাাপশি জগাছা থানার আইসি জানান, ওই স্কুলের সামনে বারবার ইভ টিজিং ঘটছিল বলে পুলিশকে খবর দিয়েছিল প্রধান শিক্ষক। সেই কারণেই ওখানে ঘোরাফেরা করছিল পুলিশ। তবে ওইভাবে ছাত্রকে মারধর করাটা যে ভুল হয়েছে, সে কথা ওই পুলিশ কর্মী স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন আইসি। পুলিশ কর্মী মদ্যপ ছিলেন, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আইসি।

উল্লেখ্য, পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর জন্য সম্প্রতি একটি কমিটি গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ কমিশনার, ডিজি, স্বরাষ্ট্র সচিবকে নিয়ে তৈরি করা হয়েছে সেই কমিটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 − eight =