আর এন টেগোর হাসপাতালের নার্সিং ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় মৃতার প্রেমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল পূর্ব যাদবপুর থানায়। সূত্রে খবর, অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার বাবা। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে প্রেমিকের বিরুদ্ধে। এরপরই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন আগে পূর্ব যাদবপুর থানা এলাকার গ্রিন পার্কে মেস থেকে মল্লিকা দাস নামে নার্সিংয়ের চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ছাত্রীর বাড়ি বাঁকুড়ার তালডাংরায় বলে জানা যায়। দ্রুত ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। সম্পর্কের টানাপোড়েনে আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু, সেই বিষয়টি প্রথম থেকেই জানার চেষ্টা করছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এরই মাঝে এবার মৃতার প্রেমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের।
সূত্রে খবর, মল্লিকার বাবা সমীর দাস পুলিশের কাছে মেয়ের প্রেমিক প্রিয়ব্রত দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর মেয়েকে আত্মহত্যা করার জন্য মানসকিভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ সমীরবাবুর। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তেও নেমেছে পুলিশ। এদিকে মল্লিকার সহ আবাসিকদের দাবি, তিনি অত্যন্ত হাসিখুশি স্বভাবের ছিলেন। ঘটনার রাতে খাওয়াদাওায়র পর একটি ফোন আসে তাঁর। দীর্ঘক্ষণ ধরে ফোনে কথা বলেন তিনি। তারপর মনমরা হয়ে যান তিনি। পরদিন সকালে ওই মেসবাড়ির ছাদে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান সকলে।
এই ঘটনায় কয়েকদিন আগে এসএসকেএম-এর হস্টেলের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় এক নার্সিং ছাত্রীর দেহ। দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীর নাম সুতপা কর্মকার। তিনি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের বাসিন্দা। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আর এন টেগোরের ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।