মতুয়া মহাসংঘের আয়কর নথি নিয়ে তৈরি হল জটিলতা

মমতাবালা ঠাকুরের মতুয়া মহাসংঘের আয়কর নথি নিয়ে তৈরি হল জটিলতা। এরপরই আদালতের নির্দেশ আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আয়কর দফতরকে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে, যে প্যান কার্ড ইস্যু হয়েছে তার সঙ্গে কোন মোবাইল নম্বর যুক্ত রয়েছে। একইসঙ্গে জানাতে হবে কার নামে ওই মোবাইল সিম রয়েছে, তাও। আদালত সূত্রে খবর, আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আপাতত কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। এদিকে এই মামলায় আয়কর দফতরকে যুক্ত করতে বলে আদালত। কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলায় তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের আয়কর সংক্রান্ত তথ্য জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেয়।
সোমবার মমতাবালার আইনজীবীকে আদালত স্পষ্ট  হুঁশিয়ারির সুরে জানায়, কী ভাবে এই প্যান কার্ড আর মোবাইল যোগ হয়েছে তা নিয়ে পুলিশকে তদন্ত করতে দেওয়া হতে পারে। সেই তদন্তে সন্তুষ্ট না হলে এই তদন্তের কাজ তুলে দেওয়া হবে অন্য কোনও এজেন্সির হাতে। সঙ্গে এও জানানো হয়,  আবেদনের মধ্যেই অনেক প্রশ্ন থেকে গিয়েছে। এদিকে এদিনের শুনানির সময়, বিচারপতি এও বলেন, ‘কার প্যান কার্ডকে ব্যবহার করছে, এটাই তো স্পষ্ট নয়।’ মমতাবালার পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘২৩ মার্চ মহাসংঘের ট্রাস্টের প্যান কার্ড হারিয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে ২৪ মার্চ থানায় অভিযোগ জানান হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, গাইঘাটার ঠাকুরনগরে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ নামে থাকা দু’টি সংগঠনের মধ্যে একটির সংধিপতি হলেন মমতাবালা। আর অপরটি সংঘাধিপতি শান্তনু। মমতাবালা নিজের সংগঠনকে আসল বলে দাবি করে শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে ক্ষমতা হস্তান্তর সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। তারপরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। জানা গিয়েছে, মমতাবালা অভিযোগের পরেই মতুয়া সংঘের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করে দেওয়া হয়। মমতাবালা ঠাকুরের অভিযোগ, শান্তনু ঠাকুর অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের নামে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে বিপুল টাকা জমা করছেন। মমতাবালার আরও অভিযোগ, মানুষকে ভুল বুঝিয়ে, কার্ড তৈরির নামে বিপুল টাকাও সংগ্রহ করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই অ্যাকাউন্ট সিল করে দেয় পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three + three =