দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। পুজোর বাজারও শুরু হওয়ার মুখে। কিন্তু তার আগে শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণে রাস্তার করুণ অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের কর্তারা। প্রতি বছরের মতো এবারও পুজোর আগে কঙ্কালসার চেহারা বেরিয়ে পড়েছে শহরের বেশ কিছু রাস্তার। সেই কারণেই এই রাস্তাগুলি দিয়ে যাতায়াতে যা সময় লাগার কথা তার থেকে ১৫-২৫ মিনিট বেশি লাগছে। রাস্তায় থাকা গর্তের কারণে ব্যস্ত সময়ে শ্লথ হয়ে যাচ্ছে ট্র্যাফিকের গতি। ঘটছে দুর্ঘটনাও। এই পরিস্থিতিতে রাস্তা মেরামতের আর্জি জানিয়ে কলকাতা পুরসভা, কেএমডিএ, পূর্ত দফতরকে চিঠি দিল লালবাজার।
ইএম বাইপাস থেকে শুরু করে জেমস লং সরণি, মহাত্মা গান্ধি রোড, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, দরগা রোড, ডায়মন্ড হারবার রোড, এসএন ব্যানার্জি রোড, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, এজেসি বোস রোড, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রোড, হরিশ মুখার্জি রোডের একাংশ, মানিকতলা, শোভাবাজার, টালা চত্বরের একাধিক রাস্তার নাম রয়েছে পুলিশের তালিকায়। এমন নয় যে এই সব রাস্তার পুরোটাই খারাপ। কিন্তু রাস্তাগুলিতে অনেক জায়গায় তৈরি হয়েছে বড়-বড় গর্ত। বর্ষায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। দুর্গাপুজোর বাজার শুরু হয়ে গেলে রাস্তায় মানুষের পাশাপাশি গাড়ির সংখ্যাও বাড়বে। সে কারণেই দ্রুত রাস্তার ভোল বদল চাইছেন ট্র্যাফিক পুলিশের কর্তারা। রাস্তা মেরামত না হলে যানজট সামলানো সম্ভব হবে না।
দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি হিসেবে শহরের দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক গার্ডের অফিসার-ইন-চার্জদের কাছে রাস্তার অবস্থা সম্পর্কে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল। সেই রিপোর্টের প্রেক্ষিতেই পুরসভাকে ৩৫টি রাস্তা মেরামতের অনুরোধ জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। মাস কয়েক আগে প্রশাসনিক বৈঠকে রাস্তা মেরামতি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেছিলেন, শহরের বড় বড় রাস্তাগুলি প্রতি বছর বর্ষায় ভেঙে যাচ্ছে। এমন হবে কেন? যে সংস্থা রাস্তা তৈরির বরাত পাচ্ছে, তাদেরকেই পাঁচ বছর মেরামতির দায়িত্ব নিতে হবে।
এদিকে শহরবাসীর বড় অংশের অভিযোগ, রাস্তা খুঁড়ে মেরামত করা হয় না। পিচের উপর পিচ দেওয়ার কারণেই রাস্তা বেশি দিন ভালো থাকে না। পুরসভার মেয়র পারিষদ (পূর্ত) অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘পুজোর আগে সব রাস্তায় প্যাচওয়ার্ক করা হবে। যে-যে রাস্তার অবস্থা ভালো নয়, বর্ষার পর সেগুলি খুঁড়ে নতুন করে তৈরি করা হবে।’