বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ধরনার আর্জি শর্ত সাপেক্ষে মঞ্জুর করল আদালত। এই মামলার বিচারপতির গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ, জমায়েত হওয়া ও ধরনা সাংবিধানিক অধিকার। এই অধিকার তখনই বন্ধ করা যায়, যখন উপযুক্ত কারণ থাকে।
সন্দেশখালিতে নারী নিগ্রহের প্রতিবাদে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে যে ধরনার আর্জি জানিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তাতে মঙ্গলবার অনুমতি দিতে দেখা গেল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দকে। আদালত সূত্রে খবর, বুধবার থেকে তিন দিন ধরনার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি। একইসঙ্গে এও নির্দেশ দিয়েছেন, দেড়শো জনের জমায়েত নিয়ে ধরনা করতে হবে। তবে ব্যবহার করা যাবে না মাইক। সঙ্গে স্পষ্ট ভাষায় এও জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও সমস্যা হলে দায় বর্তাবে মামলাকারীর ওপরেই। প্রসঙ্গত, বুধবার থেকে আগামী দুদিন গান্ধি মূর্তি পাদদেশে সন্দেশখালি ইস্যুতে ধরনায় বসবেন সুকান্ত মজুমদার।
গত দেড় মাসে সন্দেশখালি খবরের শিরোনামে। এর আগে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন সুকান্ত মজুমদার। ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও তিনি সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। পুলিশের সঙ্গে তাঁর বাগ বিতণ্ডা হয়, ধস্তাধস্তিতে গাড়ি থেকে পড়ে যান সুকান্ত। তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালেও ভর্তি হন। এরপর সুস্থ হয়ে সন্দেশখালি কাণ্ডের প্রতিবাদে গান্ধি মূর্তি ধরনা অবস্থানে বসতে চান তিনি। কিন্তু রাজ্যে বোর্ড পরীক্ষা চলছে, এই কারণ দর্শিয়ে পুলিশ সেই ধরনায় অনুমতি দেয়নি। সুকান্ত এরপর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁর বক্তব্য, ওই একই জায়গায় যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধরনা অবস্থানে বসেন, তখন তাঁর অনুমতির ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হয় না। ধরনার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সুকান্ত। এরপরই মঙ্গলবার আদালতের তরফ থেকে তাঁকে শর্তসাপেক্ষে ধরনায় অনুমতি দেওয়া হয়।