আরজি কর কাণ্ডে সামনে এল বিস্ফোরক তথ্য! ঘটনার দিন বিকেল ৪টে পর্যন্ত ক্লাস হয় ওই সেমিনার রুমে। তারপর তালা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেই চাবি সিস্টার ইনচার্জকে দিয়ে দেওয়ার নিয়ম। এখন সেখান থেকে ওই চাবি কেউ নিয়েছিলেন কিনা, তা তিনি জানেন না। বলছেন, আরজি কর হাসপাতালের পালমোনারি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, রাতে কেউ তালা খুলে সেমিনার রুমে থাকেন কি না সেটা তিনি ঠিক জানেন না। ওই ঘটনার কথা তিনি শুক্রবার সকাল ৯টা ৩৫ নাগাদ জানতে পারেন। ওদিকে নার্সিং সুপার কৃষ্ণা সাহা জানান, চাবি একটা বাক্সে রেখে দেওয়া হয়। চিকিৎসকরা সেটা ব্যবহারের জন্য নিয়ে যান। ওই দিন কেউ চাবি নিয়েছিল কি না, সেটা তিনি জানেন না। ওই দিন ৪ জন নার্স ওই বিভাগে ডিউটিতে ছিলেন। পুলিস তাদের সঙ্গেও কথা বলেছে। ফলে প্রশ্ন উঠছে, ঘটনার দিন রাতে চাবি কে নিল বা সেমিনার রুমের তালা খুলল কে তা নিয়েও।
এদিকে মেডিক্যালের কলেজের ভিতরই সেমিনার রুমে, নাইট ডিউটিরত চিকিত্সককে ধর্ষণ-খুনের মতো হাড়হিম করা ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে সব মহলে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নারকীয় নির্যাতনের প্রমাণ। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিস। যদিও এই ঘটনা একজনের নয়, এই ঘটনার পিছনে আরও কেউ আছে বলে দাবিতে সোচ্চার আন্দোলনকারী ডাক্তার থেকে বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার আরজিকর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কাল নির্দেশ পাওয়ার পরই সিবিআই দিল্লিতে মামলা করে। এরপরই এদিন সকালে দিল্লি থেকে এসে পৌঁছয় সিবিআই-এর টিম। ওদিক সোদপুরে নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে দেখা করেছেন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরাও।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার আরজিকর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সামথিং ইজ মিসিং। এমন নয় যে দেহ রাস্তায় পড়ে আছে। কিন্তু সুপার, প্রিন্সিপ্যাল কেন অভিযোগ করলেন না? আর কিছু বলতে হবে না। ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে এসেছে। অমানবিক। এটা আপনাদের কাছ থেকে গ্রহণযোগ্য নয়।’ ওদিকে হাইকোর্ট একদিকে যখন সিবিআই-এর নির্দেশ দিয়েছে, তখন তারপরই দেখা যায় সেমিনার রুম সংলগ্ন একটি রুম ভাঙা হচ্ছে। সংস্কারের প্রয়োজনে ভাঙা হচ্ছে বলা হয়। অভিযোগ ওঠে প্রমাণ লোপাটের। তারপর আবার আদালত নির্দেশ দেয়, অবিলম্বে কাজ বন্ধের।