আরজি কর ইস্যুতে ছাত্র সমাজের ডাকা নবান্ন অভিযানে অংশ নেওয়া নিয়ে ‘দ্বন্দ্ব’ বঙ্গ বিজেপিতে। সূত্রের খবর,দলের একটা অংশের বক্তব্য, নবান্ন অভিযানে সামিল হতে। আর অন্য পক্ষের এই অভিযানে অংশ নিতে একেবারেই ‘সায়’ নেই। ‘রংহীন’ নবান্ন অভিযানে সরাসরি গেরুয়া রং লাগাতে নারাজ বঙ্গ বিজেপির একাংশ। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নবান্ন অভিযান ‘আমাদের নয়’ বললেও নবান্ন অভিযানে থাকবেন বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজনৈতিক পতাকা ছাড়া অরাজনৈতিকভাবে আরজিকর ইস্যুতে যে কোনও আন্দোলনের পাশে থাকা দলের ঘোষিত নীতি বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব বলছে,’ সব আন্দোলনেই আমাদের নৈতিক সমর্থন রয়েছে। তবে বিজেপি রাজনৈতিকভাবেই সমস্ত আন্দোলন কর্মসূচি পালন করবে।’ তবে নবান্ন অভিযান নিয়ে এখনও দ্বিধাবিভক্ত পদ্ম শিবির।
বিজেপি সূত্রের খবর,’ ছাত্র সমাজের ডাকা আরজিকর ইস্যুতে আগামী ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানে নৈতিক সমর্থন থাকলেও দলগতভাবে তারা অংশ নেবে না। ছাত্র সমাজের ডাকা রংহীন নবান্ন অভিযান আন্দোলনে গেরুয়া পতাকাকে যুক্ত করতে চাইছে না বঙ্গ বিজেপি। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন,’ প্রতিটি বাড়ি থেকে একজন করে নবান্ন অভিযানে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ছাত্রসমাজ। তাই একজন নাগরিক হিসেবে আমি সেই আন্দোলনে উপস্থিত থাকব।’
শুভেন্দু অধিকারী একজন নাগরিক হিসেবে তথা সরকার বিরোধী ‘মুখ’ হিসেবে নবান্ন অভিযানে যেতেই পারেন বলে মত রাজ্য বিজেপির একাংশের। এদিকে আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে আদালতের অনুমতিক্রমে পাঁচ দিনব্যাপী শ্যামবাজারে ধরনা অবস্থান কর্মসূচি রবিবার শেষ হচ্ছে। এদিনই সেই মঞ্চ থেকেই বিজেপির পরবর্তী কর্মসূচি কী তা ঘোষণা করবেন সুকান্ত মজুমদার এমনটাই জানা যাচ্ছে বঙ্গ স্যাফ্রন ব্রিগেড সূত্রে।