২২ জুলাই বাজেট পেশের আগের দিন আইনসভায় গত অর্থবর্ষের ‘আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট’ পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। যেখানে উল্লেখ করেন, জিডিপি বৃদ্ধির হার থেকে শুরু করে মুদ্রাস্ফীতি ও কর্মসংস্থানের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের। এদিকে কেন্দ্রের দাবি, পেট্রল-ডিজেল দাম কমানোর জেরে ২০২৪ আর্থিক বছরে খুচরো জ্বালানির মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল বেশ কম। প্রসঙ্গত, গত অর্থবর্ষে গ্লোবাল এনার্জি প্রাইস ইনডেক্সেও পতন দেখা গিয়েছিল। ভারতের উপরও পড়েছে যার প্রভাব।
সোমবার সংসদে পেশ করা আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৩-র অগাস্টে সিলিন্ডার প্রতি ২০০ টাকা করে কমানো হয় রান্নার গ্যাসের দাম। অন্যদিকে চলতি বছরের মার্চে পেট্রল ও ডিজেলের মূল্য হ্রাস হয়েছে লিটার প্রতি ২ টাকা।
সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী, গত অর্থবর্ষে প্রতিকূল আবহাওয়ার জেরে বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে এদেশের কৃষি ব্যবস্থা। ফলে ঘরোয়া বাজারে বেড়েছে খাদ্য দ্রব্যের দাম। ২০২৪ আর্থিক বছরে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির হার বৃদ্ধি পেয়েছে ৭.৫ শতাংশ। যা ২০২৩ অর্থবর্ষে ছিল ৬.৬ শতাংশ।
পাশাপাশি, ওই রিপোর্টে ২০৩০-র মধ্যে ৭৮.৫ লাখ কর্মসংস্থান তৈরির কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশের গড় বয়স ৩৫ বছর বা তার কম। কিন্তু সংগঠিত সেক্টরে চাকরির ক্ষেত্রে তাঁদের দক্ষতার অভাব রয়েছে। এদেশের জনসংখ্যার ৫১.২৫ শতাংশ যুবক-যুবতী কাজ পাওয়ার যোগ্য বলে আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
এদিকে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। সেখানে সৌরবিদ্যুৎ প্রসারের জন্য ৭৫ হাজার ২১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেন তিনি। ফলে চালু হয় ‘পিএম সৌর ঘর’ প্রকল্প। এতে ১৭ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টে রয়েছে উল্লেখ।
তবে ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে ফাটকাবাজি ও মজুতদারির যে কোনও স্থান নেই, তা সমীক্ষায় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এতে দেশের আর্থিক বৃদ্ধিতে বড় ক্ষতির রয়েছে সম্ভাবনা। উল্লেখ্য, প্রতি বছর কেন্দ্রীয় বাজেটের ঠিক আগের দিনে নিয়ম মেনে সংসদে আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করে সরকার। এবারও যার অন্যথা হয়নি। এই রিপোর্টে গত এক বছরের অর্থনীতির পর্যালোচনা করা হয়েছে।