শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে কার্যত বিজেপিকে তুলোধনা করেলন অভিষেক। বঙ্গের স্যাফ্রন ব্রিগেডকে বিদ্ধ করে তিনি এদিন বলেন, ‘সব মাতাল, দুর্নীতিগ্রস্ত, চোর-চিটিংবাজেরা বিজেপিতে রয়েছে।’ এরই রেশ ধরে সামনে এল সন্দেশখালির প্রসঙ্গও। আর এই ইস্যুতেই তিনি আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। এমনকী নিট কেলেঙ্কারির জন্য ধর্মেন্দ্র প্রধানকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না সেই প্রশ্নও করেন। সুর চড়ান বিজেপির বঞ্চনা নিয়েও।
এদিন সন্দেশখালি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সন্দেশখালিতে একটা চিত্রনাট্য সাজিয়ে বাংলাকে গোটা ভারতের কাছে কলুষিত করতে চেয়েছিল ওরা। সন্দেশখালি দু নম্বর ব্লকের মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল তো বলেছেন, ভোটের দিন প্রতি বুথে বিজেপির মদের খরচ ছিল ৫ হাজার টাকা।’
এরপরই একেবারে হিসাব কষে বুঝিয়ে দেন মদের পিছনে ভোটের দিন মোট কত খরচা করেছিল পদ্ম শিবির। যা নিয়েও বর্তমানে জোর শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায়। একুশের মঞ্চ থেকে মমতার সঙ্গে তুলনা করে বিজেপিকে একহাত নিয়ে অভিষেক বলেন, ‘বাংলায় আশি হাজার বুথ। নির্বাচনের দিন বিজেপি মদ খাওয়ানোর জন্য খরচ করেছে ৪০ কোটি টাকা। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একশো দিনের ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা দিয়ে প্রায় ৫৯ লক্ষ গরিব শ্রমিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পাঠিয়ে দিয়েছিল। কথা রেখেছিলেন। এটাই ওদের সঙ্গে পার্থক্য।’
এখানেই না থেমে আক্রমণের সুর আরও চড়া করে অভিষেক বলেন, ‘বিজেপি সাম্প্রদায়িক বিভাজন করে, মদ খাওয়ানোর জন্য ৪০ কোটি টাকা খরচ করে। কোনও ভদ্রলোক বিজেপি করে না। সব মাতাল, দুর্নীতিগ্রস্ত, চোর-চিটিংবাজেরা বিজেপিতে। সে কারণেই তো মানুষ এদের বর্জন করেছে। ওরা জনগনের নয়, নরেন্দ্র মোদির গর্জনে বিশ্বাস করেছিল।’