প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে ভর্ৎসিত রাজ্য। সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন টাকা না আসায় পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ বাসিন্দা। সেখানেও কোনও সুরাহা না হওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই পাঁচজন। সেই মামলায় রাজ্য রিপোর্ট দেওয়ার পরই বিচারপতির ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল রাজ্য সরকারকে।
আদালত সূত্রে খবর, ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকার জন্য আবেদন করেন ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সিরাজুল মণ্ডল–সহ পাঁচ বাসিন্দা। দীর্ঘদিন টাকা না আসায় পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হন আবাসের টাকা থেকে বঞ্চিত পাঁচজন। অভিযোগ, তখন পঞ্চায়েত থেকে বলা হয় টাকা আসেনি। পরে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, তাঁরা টাকা পাওয়ার জন্য যোগ্য নন। এই প্রেক্ষিতে ২০২৩ সালে আদালতে মামলা করা হলে স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তভার দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। এই মামলায় রিপোর্ট তলব করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রবিকিষাণ কাপুর।রিপোর্ট দিয়ে রাজ্য জানায়, মামলাকারী ৫ জনের টাকাই ভুল অ্যাকাউন্টে গিয়েছে। যা দেখে রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতির মন্তব্য, ‘এটা ইচ্ছাকৃত জালিয়াতি।’ এরপরই অবিলম্বে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী পদক্ষেপের নির্দেশও দেন। বিডিও ও পঞ্চায়েত প্রধানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নম্বর তলব করেছে হাইকোর্ট।