বরদাস্ত করা হবে না দুর্নীতি, বার্তা রাজ্যপালের

‘বরদাস্ত করা হবে না দুর্নীতি। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক নিয়োগ করতে হবে স্বচ্ছতার সঙ্গে।’ সোমবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাঁর নিয়োগ করা অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে স্পষ্ট ভাষায় এমনটাই জানান। শুধু তাই নয়, এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্বচ্ছতা’র সঙ্গে অধ্যাপক নিয়োগের লক্ষ্যে ভিনরাজ্যের বিশেষজ্ঞ আনার কথাও জানান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। প্রসঙ্গত, সোমবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয় কেন্দ্রের প্রথম বৈঠক হয়। সল্টলেকে মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে হয় এই বৈঠক। সেখানে আচার্য বোস বার্তা দেন, ‘ নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে অধ্যাপক নিয়োগ হবে। ‘ডু অ্যান্ড ডেয়ার’ স্লোগানে বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ হবে।’ এর পাশাপাশি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এও জানান, ‘আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ হবে। তার জন্য তৈরি হচ্ছে অ্যাকাডেমিক-ইন্ডাস্ট্রি কমিটিও। এই কমিটিতে সরকার, স্টেক হোল্ডাররা একসঙ্গে কাজ করবে।’

একইসঙ্গে রাজ্য়পাল এও জানান,‘আমরা আমনে-সামনে অর্থাৎ মুখোমুখি প্রোগ্রামের শুরু করছি। যে কোনও বিষয়ে স্কুল- কলেজ পড়ুয়ারা রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলা যাবে। শুধু একটা ফোন করলেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করা যাবে।’ সঙ্গে রাজ্যপাল এও জানান, ‘বেস্ট অ্যান্ড ব্রাইটেস্ট অ্যামং দ্য স্টুডেন্টস’-রা রাজ্যপালের ‘ডায়মন্ড গ্রুপ’-এ যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর নিয়োগ করা ১২ জন অন্তর্বর্তীকালীন উপচার্যের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাকে দেশের ‘এডুকেশন হাব’ করার লক্ষ্যের কথা বলেছিলেন রাজ্যপাল। সোমবারের বৈঠকেও সামনে আসে সে কথা।  এদিনের বৈঠকে রাজ্যপালের নিয়োগ করা ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যেরা উপস্থিত ছিলেন। তবে সোমবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে  বারবার বলতে শোনা যায়, দুর্নীতি বন্ধের কথা। আর সে কথা বলতে গিয়ে আচার্যকে বলতে এটাও বলেন যে, ‘এটা বেদনাদায়ক যে রাজ্যের একজন মন্ত্রী জেলে।‘

এদিকে তৃণমূল বারবারই বুঝিয়ে দিয়েছে তারা আচার্যের ভূমিকায় তিতিবিরক্ত। প্রকাশ্যে একাধিকবার ক্ষোভ উগরেও দিতে দেখা গেছে  শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। সোমবারও তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে রাজভবন থেকে নজিরবিহীনভাবে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। তাতে বিরোধীরাও সরকারের পাশে দাঁড়াক বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে বিজেপি যে রাজ্যপালের পাশেই থাকবে তা বুঝিয়ে দেন শমীক ভট্টাচার্য। বিজেপির মুখপাত্র শমীক বলেন, ‘সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থাই তো একটা খোলা বাজার হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় মানুষের শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে রাজ্যপাল সচেষ্ট হয়েছেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 15 =