২০২৫-এও পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস নিয়ে আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। তাই প্রতিবছর এই ‘বিপত্তি’কে রুখতে আগাম বেশ কয়েকটি পদক্ষেপও করতে দেখা গেল তাদের।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, আগে কোন স্কুলে প্রশ্ন যাবে তা নির্ধারণ ও বাছাই পর্ব চলত নিরাপত্তার মোড়কে। থানার অন্দরেই চলত সেই সমস্ত কাজকর্ম। কিন্তু চলতি বছর থেকে বদলে যেতে চলেছে সেই নিয়ম। নিরাপত্তার ঢাল বজায় রাখা হলেও, হস্তক্ষেপ থাকবে না স্থানীয় থানার, বরং ছাপাখানা থেকে এবার সেই বাছাইয়ের কাজ হয়ে আসবে বলে জানা গিয়েছে।
পাশাপাশি, প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে মেটাল ডিটেক্টরও বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা সংসদ। প্রতিবছর পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফোন উদ্ধারের নানা ঘটনা ঘটে থাকে। এবার সেই বিষয়টিকে আগাম রুখে দিতে পরীক্ষা কেন্দ্রে বসবে মেটাল ডিটেক্টর।
তবে বদলের প্রসঙ্গে কিন্তু এখানেই থেমে থাকেনি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। মূলত, মুখবন্ধ খামে প্রশ্ন প্রতিটি স্কুলে পৌঁছে থাকে। তারপর সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেই খাম খুলে প্রশ্ন বের করেন। সংসদের দাবি, পরীক্ষার্থীদের হাতে প্রশ্নপত্র পড়ার এতটা সময় আগে মুখবন্ধ খাম খোলার বিষয়টা মোটেই নিরাপদ নয়। এই সময়ের ব্যবধানের মধ্যে প্রশ্নফাঁসের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। তাই এই রীতিতে বদল আনতে চায় তারা।
বর্তমানে প্রশ্নপত্রের সিল খোলা হয় প্রধান শিক্ষকের ঘরে। কিন্তু সেই রীতি এবার আসবে বদল। প্রধান শিক্ষকের ঘর নয়, বরং সরাসরি ক্লাসরুমে গিয়ে মুখবন্ধ খাম থেকে প্রশ্ন বের করবেন পরীক্ষকরা।