আজ পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গণনা। গণনা শুরু সকাল ৮টা থেকে। সোমবার থেকেই কার্যত চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে প্রতিটি গণনা কেন্দ্র। কমিশনের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়েছে, ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে দিয়ে চলবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনা। বাইরের কারও প্রবেশ ঠেকাতে নিরাপত্তার প্রথম স্তরে খতিয়ে দেখা হবে পরিচয়পত্র। যথাযথ পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকেই ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। নিরাপত্তার দ্বিতীয় স্তরে নিষিদ্ধ কোনও বস্তু যেমন দেশলাই ইত্যাদি সঙ্গে আছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হবে। মহিলাদের পরীক্ষা করতে পারবেন শুধুমাত্র মহিলা নিরাপত্তারক্ষীরা। মোবাইল, ল্যাপটপ বা অডিও-ভিডিও রেকর্ড করা যায় এমন কোনও গ্যাজেট বা ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী গণনা কেন্দ্রের ভিতরে নিয়ে যাওয়া যাবে না। আর গণনা কক্ষের একদম দোরগোড়ায় থাকবে তৃতীয় স্তরের নিরাপত্তা। সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, মোট ৩৩৯টি কেন্দ্র সকাল ৮টায় শুরু হবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনা। প্রথমে গ্রাম পঞ্চায়েত, তারপর পঞ্চায়েত সমিতি এবং সবশেষে গণনা হবে জেলা পরিষদের। গ্রাম পঞ্চায়েতের ফলাফল ঘোষণা করা হবে টেবিলেই। বাকি দু’টোর ফলাফল ঘোষণা করবেন বিডিও। প্রত্যেক ক্ষেত্রে ২ রাউন্ড করে গণনা হবে। কিছু ক্ষেত্রে তা বাড়তেও পারে। অর্থাৎ গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ মিলিয়ে গণনা হবে মোট ৬ রাউন্ড। গণনা চলবে কন্টিনিউয়াল প্রসেসে।
জানা গিয়েছে, গোটা গণনা প্রক্রিয়াই চলবে সিসিটিভি-র নজরদারিতে। গণনা কেন্দ্রে প্রত্যেক টেবিলে থাকবেন বিডিও, একজন কাউন্টিং অফিসার, একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কাউন্টিং অফিসার এবং গণনা এজেন্ট। এছাড়া প্রতি গণনা কেন্দ্র ব্লকপিছু থাকবেন একজন করে অবসার্ভার ও জেলাপিছু একজন স্পেশাল অবজার্ভার। গ্রাম পঞ্চায়েত এবং জেলা পরিষদের ক্ষেত্রে প্রার্থী এবং কাউন্টিং এজেন্ট দু’জনেরই থাকার অনুমতি রয়েছে। কিন্তু পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রে শুধুই প্রার্থীকে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রার্থীর এজেন্টের থাকার কোনও অনুমতি নেই।