মুর্শিদাবাদে রামনবমীর দিন অশান্তির মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলব বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন যেন পিছিয়ে দেওয়া হয়।’ একইসঙ্গে মঙ্গলবার আদালতের তরফ থেকে এও জানানো হয়. নির্বাচন কমিশনকে এ ব্যাপারে আবেদন জানানো হবে। আদালতের তরফ থেকে এদিন এও জানানো হয়, যেখানে মানুষ ৮ ঘণ্টা শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের উৎসব পালন করতে পারেন না, সেখানে এই মুহূর্তে ভোটের প্রয়োজন নেই।
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের ঘটনায় এনআইএ তদন্ত চেয়ে দায়ের হয় মামলা। এই অশান্তির প্ররোচনা কে দিল তা নিয়ে প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি। এরই পাশাপাশি এদিন মামলার শুনানিতে রাজ্যকে হলফনামা আকারে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কেন্দ্র এবং রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাগুলি চাইলে হলফনামা দাখিল করতে পারেন। আদালত সূত্রে খবর, আগামী ২৬ এপ্রিল পরবর্তী শুনানি।
উল্লেখ্য, রাম নবমীর অনুষ্ঠানের দিন শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদ জেলার রেজিনগর এলাকা। রেজিনগরের শান্তিপুর এলাকায় মিছিলের উপর আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ। এই মিছিল যাওয়ার সময় বাড়ির ছাদ থেকে ইট ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। পাথর ছোড়ার পাশাপাশি চলে বোমাবাজিও। পরিস্থিত্ সামাল দিতে নামানো হয় র্যাফ। এদিনের এই ঘটনায় কয়েকজন আহত হন বলেও জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর রাম নবমীর মিছিলকে কেন্দ্রে করে অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল হাওড়া ও হুগলি জেলার কিছু অংশে। এই খঘটনাকে মাথায় রেখেই এবার অশান্তির আশঙ্কা করে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয় হাওড়া জেলায়। এই ঘটনায় এখনও তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকায় সংস্থা এনআইএ। তবে, এবার রামনবমীর দিন হাওড়াতে কোনও অশান্তি না হলেও মুর্শিদাবাদ উত্তপ্ত হয়। রামনবমীর দিন মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির ঘটনায় যে ভিডিয়ো ফুটেজ মিলেছে তা ইতিমধ্যে সংরক্ষণ করতে নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি এসপি মুর্শিদাবাদ ও সিআইডিকে এই ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়। রাজ্যের বক্তব্য ছিল, পুলিশ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করেছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিল পুলিশ। অন্যদিকে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অভিযোগ, একটি নির্দিষ্ট ধর্ম সম্প্রদায়কে করে পরিকল্পনা করে হামলা চালানো হয়েছে।