সোমবারের দুপুর। কলকাতার ধর্মতলায় শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে তখন একের পর এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা তাঁদের বক্তব্য রেখে চলেছেন। এমনই এক আবহে শহর কলকাতা থেকে প্রায় কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে নয়াদিল্লিতে শীর্ষ আদালতে উঠল মমতার আদালত অবমাননার মামলা।
আর এই মামলাতে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করতে সোনা গেল প্রধান বিচারপতি বিআর গভাইকে। মামলাকারী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আত্মদীপ’-এর আইনজীবীকে প্রধান বিচারপতি আদালতের মধ্যে রাজনীতি না করারই পরামর্শ দিলেন তিনি। তাঁর পর্যবেক্ষণ, ‘আদালতে রাজনীতি করার চেষ্টা করবেন না। রাজনীতির লড়াই অন্য জায়গায় লড়ুন।’
শুধু তাই নয়, এই মামলার ‘যৌক্তিকতা’ নিয়েও এদিন প্রশ্ন করতে দেখা গেল প্রধান বিচারপতিকে। এরপরই তিনি মামলাকারীর আইনজীবীর কাছে জানতে চান, ‘আমাদের এখনই মামলা খারিজ করে দেওয়া উচিত নয় কি?’
এদিন শীর্ষ আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার মামলাকারীর আইনজীবী মনিন্দর সিং মামলাটির শুনানি আপাতত ভাবে মুলতুবি রাখার আর্জি জানান। তাঁর দাবি, অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুমতির জন্য আবেদন করা হয়েছে। যার পাল্টা প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘আপনি কি নিশ্চিত যে আপনারা অনুমতি পাবেন?’ যদিও প্রধান বিচারপতির মুখে মামলার ‘যৌক্তিকতা নিয়ে শঙ্কা’র কথা শোনা গেলেও, তা তিনি খারিজ করে দেননি। বরং মামলার পরবর্তী শুনানি চার সপ্তাহ পর হবে বলে জানায় আদালত।
উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল এসএসসি–র ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় রায় নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই মামলার রায় এবং তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমার সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করে মমতা, এমনটাই অভিযোগ। এই মর্মে গত ২৪ এপ্রিল শীর্ষ আদালতে অবমাননার মামলা দায়ের করে ওই সংগঠনটি। গত শনিবার এই মামলার তথ্য ও নথিও আদালতে জমা পড়ে।