দাড়িভিট মামলায় আদালতের নির্দেশের পরেও অনলাইনে হাজিরা দেননি মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও এডিজি সিআইডি। তাই এবার আদালতে সশরীরে হাজির হওয়ার কড়া নির্দেশ দেওয়া হল। এই হাজিরা না দিলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে বলে শুক্রবার স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সঙ্গে বিাচরপতি মান্থা এও বলেন, ‘অন্য ক্ষেত্রে হলে, আদালত ওয়ারেন্ট অব অ্যারেস্ট ইস্যু করে দিত। তবে এই ক্ষেত্রে আদালত আরও একটা সুযোগ দিতে চায়।’ এদিকে আদালত সূত্রে খবর, আগামী সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও এডিজি সিআইডি-কে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। শুক্রবার মুখ্যসচিবের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারপতি মান্থা বলেন, ‘চিফ সেক্রেটারি অনলাইনে আসারও প্রয়োজন বোধ করলেন না! হাজিরা থেকে ওঁদের এখনও আদালত অব্যাহতি দেয়নি। এমনকী ওঁরা সশরীরে হাজিরা থেকে অব্যাহতি চেয়ে কোনও আবেদনও করেননি।’
প্রসঙ্গত, উত্তর দিনাজপুরের দাড়িভিটে শিক্ষকের দাবিতে আন্দোলন চলাকালীন গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় দুই যুবকের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। অভিযোগ, এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার ১০ মাস পরও তা কার্যকর হয়নি। এতদিনেও সেই নথি এনআইএ-র হাতে সিআইডি না তুলে দেয়নি। সেই কারণেই হাইকোর্টের ক্ষোভের মুখে পড়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রদফতর। সেই মামলাতেই শুক্রবার কড়া নির্দেশ দিলেন বিচারপতি মান্থা।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র শমিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘দাড়িভিটে যা হয়েছে, সারা দেশে এমন ঘটনা কমই ঘটেছে। কোনও মিটিং, মিছিল বা আক্রমণ করা হলে গুলি চলতে পারে, তবে ছাত্রদের আন্দোলনের মধ্যে যেভাবে গুলি চালানো হয়েছে, তা নজিরবিহীন। কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে চেপে রাখার প্রচেষ্টা চলছে।’ এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতার দাবি, ওই ঘটনায় পুলিশ কার্যত কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি।