এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় গাজিয়াবাদে থেকে উদ্ধার হওয়া ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, হার্ড ডিস্ক এবং তার মধ্যে থাকা ওএমআর-সহ সমস্ত নথি আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেন, আগামী ২৪ শে জানুয়ারি সমস্ত নথি পেশ করতে হবে। যদি পরবর্তী শুনানির দিন কোনও কারণে ইলেকট্রনিক ডিভাইস পেশ করা সম্ভব না হয়, তাহলে মামলা চলাকালীন তা পেশ করতে হবে। এদিনের শুনানিতে বিচারপতি এটাও স্পষ্ট করে দেন, ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস পেশ করা সম্ভব না হলেও তার মধ্যে থাকা নথির কপি পেশ করতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-কে। এদিন সিবিআই-এর পাশাপাশি এসএসসি-র কাছে থাকা এই সংক্রান্ত সমস্ত নথিও পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই সংক্রান্ত তথ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের সার্ভারে রয়েছে।
এদিকে আদালত সূত্রে খবর, মামলায় যুক্ত কোনও বিতর্কিত চাকরিপ্রাপক তার নিজের ওএমআর দেখতে চাইলে তিনি আদালতের নজরদারিতে দেখতে পারেন বলে নির্দেশ আদালতের। এদিকে সমস্যা তৈরি হয় অন্য জায়গায়।আদালতের সামনে ওএমআর পেশ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বিতর্কিত চাকরি প্রাপকের আইনজীবীরা। একাদশ এবং দ্বাদশের বিতর্কিত চাকরি প্রাপকের দু’জন চান তাঁদের ওএমআর আদালতের সামনে পেশ করা হোক। সেখানেই তাঁরা একবার তাঁদের নিজের ওএমআর পরীক্ষা করে দেখতে চান। কিন্তু বাকি সমস্ত বিভাগের বিতর্কিত চাকরি প্রাপকরা চাইছেন না ওএমআর আদালতের সামনে পেশ করা হোক। পাশাপাশি তাঁরা এই ডিজিটাল নথির সত্যতা নিয়েই সংশয় প্রকাশ করেন। যদি কোনও একজন নির্দিষ্ট মামলাকারী তার ওএমআর দেখতে চান তাহলে আলাদা বিষয়, কিন্তু এটা যেন সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না হয়।
এদিকে শুনানির সময়ে বিতর্কিত চাকরিপ্রাপকদের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘নাইসা অধিকর্তা এবং প্রাক্তন আধিকারিক পঙ্কজ বনশলকে আমরা জেরা করতে চাই। আদালতের নির্দেশে কারা প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে চাকরি পেয়েছেন সেই তালিকা স্কুল সার্ভিস কমিশন আদালতে পেশ করুক।’ এদিকে সিবিআই-এর আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্যের সওয়াল, ‘এই মামলার তদন্তে আমরা যে যে নথি এবং তথ্য উদ্ধার করেছি তার সবগুলিই স্কুল সার্ভিস কমিশনকে দিয়েছি। তারা সেগুলি দেখে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।’
এই শুনানির পরই বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, ‘এসএসসির ওপর আমরা কীভাবে বিশ্বাস করব? এসএসসি বারবার তার অবস্থান বদল করেছে। বিচারপতি সিবিআইকে প্রশ্ন করেন, “পঙ্কজ বনশল কি হেফাজতে রয়েছেন?’ এদিকে সিবিআই-এর আইনজীবী জানান, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। কিন্তু তাঁর নাম চার্জশিটে রয়েছে।