লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী দেবের কাছে হেরে নির্বাচনের ফলকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপির হিরণ চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার হিরণের ইলেকশন পিটিশনের ভিত্তিতে শুনানি ছিল বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের বেঞ্চে। সূত্রে খবর, এদিন সব পক্ষকে নোটিস ইস্যু করার নির্দেশ দেয় আদালত। হিরণের দায়ের করা পিটিশনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশ, ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের সব ভোট কেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ, ডিভিআর, ইভিএম, ব্যালট, অফিস নোট, নির্বাচনী কাগজপত্র সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। নির্বাচন কমিশন সমস্ত সংরক্ষণের কাজ করবে।
প্রসঙ্গত, খড়গপুরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্য়ায়কে লোকসভা ভোটে ঘাটালের প্রার্থী করেছিল বিজেপি। এই কেন্দ্র তৃণমূলের, এখানকার সাংসদ দীপক অধিকারী দেব। ভোটের আবহে বারবারই দেবে ও তৃণমূলকে নানা অভিযোগে বিদ্ধ করেন বিজেপি প্রার্থী। এবারের লোকসভা নির্বাচনে জয় নিয়েও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি। তবে নির্বাচনী ফল প্রকাশ্যে আসতে দেখা যায়, ১ লক্ষ ৮২ হাজার ভোটে হিরণকে হারিয়েছেন দেব। ভোটে হারার পরই নির্বাচনী কারচুপির অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা করেন বিজেপি প্রার্থী। শুধু হিরণই নন, বসিরহাটের রেখা পাত্র, ডায়মন্ড হারবারের অভিজিৎ দাস ববি থেকে আরামবাগের অরূপ দিগর, সকলেই ভোটে হেরে ভোটের ফল নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন।
সম্প্রতি রেখা পাত্রের পিটিশনের শুনানি হয় বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের বেঞ্চে। ইভিএম, ব্যালট, সিসিটিভি, ডিভিআর, নির্বাচনী সমস্ত কাগজপত্র সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ৪ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। এরইমধ্যে এবার হিরণের মামলায়ও সেই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। নির্বাচনী কারচুপি নিয়ে মামলা করেন হিরণ। সিসিটিভি ফুটেজের ফরেন্সিক রিপোর্ট নিয়ে আগামী শুনানিতে আলোচনা হবে। আদালত সূত্রে খবর, আগামী ৬ সেপ্টেম্বর হিরণের মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।