জেল হেফাজতে ডেবরার বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় থানা ও জেলের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। একইসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ, নিম্ন আদালতে পেশ করা রিপোর্ট হাইকোর্টে পেশ করতে হবে আগামী বুধবারের মধ্যে। এরপর এসএসকেএম হাসপাতালের অভিজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা বিশেষ দল গঠন করে ময়নাতদন্ত করতে হবে। ভিডিওগ্রাফিও করতে হবে। সমস্ত প্রক্রিয়ার শেষে দেহ পরিবারের হাতে তুলে দিতে হবে। প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের ফলাফলের দিন পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় বিজেপি-তৃণমূলের সংঘর্ষে গ্রেপ্তার হন বিজেপি কর্মী সঞ্জয় বেরা। পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সঞ্জয় বেরাকে। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়।
জেল হেফাজতে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এক্স হ্যান্ডেলে সরব হতেও দেখা যাচ্ছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। নিহত বিজেপি কর্মীর নাম সঞ্জয় বেরা (৪২)। তাঁর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার পুরুষোত্তম এলাকায়। একইসঙ্গে তিনি এ দাবিও করেছেন, জেল হেফাজতে থাকাকালীন সঞ্জয়ের মৃত্যু কীভাবে হল তার তদন্ত করাতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থা সিবিআইকে দিয়ে।
এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু এও জানিয়েছেন, গত ৪ জুন ডেবরায় তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে। তাঁর জেল হেফাজত হয়। জেলে থাকাকালীনই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সঞ্জয়। তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসার পর তাঁকে মেদিনীপুরের প্রেসিডেন্সি জেলে পাঠানো হয়। তারপর আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে পিজি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
একইসঙ্গে শুভেন্দু এও জানান, পুলিশ একটা অযৌক্তিক দাবি করছে। পুলিশের বক্তব্য, সঞ্জয় মাটিতে পড়ে গিয়ে মাথার গুরুতর চোট পেয়েছিলেন। কিন্তু এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর বক্তব্য, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। আইন শৃঙ্খলার ওপর থেকে মানুষের বিশ্বাস হারিয়ে যাচ্ছে। আইনের যাঁরা রক্ষক, তাঁদেরকেই আর মানুষ বিশ্বাস করতে পারছেন না বলে এক্স হ্যান্ডেলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ উঠছে। হিংসায় আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গেও দেখা করতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। তার মধ্যেই জেল হেফাজতে বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে প্রশ্ন তুললেন তিনি।