বারুইপুরে বিজেপির মিছিলে শুভেন্দু অধিকারীর উপর হামলার অভিযোগ। এই প্রসঙ্গে বঙ্গ বিজেপির তরফ থেকে এ অভিযোগও আনা হয় যে, আক্রান্ত হন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও। এরপরই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু ও বিধায়ক শঙ্করের উপর মলার ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে বিজেপি। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার বারুইপুরে পুলিশ সুপারের দফতরের বাইরে প্রতিবাদ বিক্ষোভেরও অনুমতি চায় তারা। এই প্রতিবাদ বিক্ষোভের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এদিন বিচারপতি তীর্থঙ্কর বসু নির্দেশ দেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করা যাবে। একহাজার কর্মী, সমর্থক নিয়ে কর্মসূচির অনুমতি দিল হাইকোর্ট। সর্বোচ্চ ২৫টি মাইক ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল এলাকা বাদ দিয়ে ৫০০ মিটার এলাকায় মাইক ব্যবহার করা যাবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ মার্চ শুভেন্দু-সহ বিজেপি বিধায়কদের কর্মসূচি ঘিরে উত্তপ্ত হয়েছিল বারুইপুর। এদিন হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে বিজেপির আইনজীবী বলেন, শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এবং বিরোধী দলনেতা আক্রান্ত হন। সহ্গে গাড়িতেও হামলা চালানো হয়। পাশাপাশি বিজেপির আইনজীবী জানান, রাজ্যের হাতে প্রচুর দক্ষ পুলিশ আছে। রাজ্যে নিজেই বলেছে যে শেষ কর্মসূচিতে ৪৫০ জন পুলিশকর্মী মোতায়েন ছিলেন। এরপরই তিনি প্রশ্ন তোলেন, এতো পুলিশকর্মী থাকতে বিক্ষোভের অনুমতি দিতে অসুবিধা কোথায় তা নিয়েই। এরপরই বিচারপতি বিজেপির আইনজীবীর কাছে জানতে চান, আগেরবার গণ্ডগোল কেন হয়েছিল? তখন বিজেপির আইনজীবী বলেন, পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল বলে এমন ঘটনা ঘটেছে। বিজেপির আরও বক্তব্য, যেখানে বিরোধী দলনেতা আক্রান্ত হন, সেখানে পুলিশের মাথা লজ্জায় হেঁট হয়ে যাওয়া উচিত।
এরপরই রাজ্যের তরফে বলা হয়, পুলিশ সুপারের দফতরের বাইরে বিক্ষোভ কর্মসূচির জন্য বিজেপির আইনজীবী পুলিশকে ই-মেইল করেছিলেন। পুলিশের তরফে পাল্টা ইমেইল করে তথ্য চাওয়া হয়। কিন্তু তার আর কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। বিচারপতি বলেন, বিবাদের কিছু নেই। যদি পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়, তাহলে পুলিশকে পদক্ষেপ করতেই হবে।
গাড়িতে হামলা নিয়ে রাজ্যের তরফে এদিন বলা হয়, ‘প্রায় ৪৫০ জন পুলিশ ছিলেন। উচ্চপদস্থ কর্তারা ছিলেন। আমরা সমস্ত ফুটেজ খতিয়ে দেখেছি। যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে বিরোধী দলনেতার ছোঁয়া পর্যন্ত লাগেনি। গাড়ির কোনও ক্ষতি হয়েছে বলে আমরা দেখিনি।’ তখন বিজেপির হাতে থাকা ভিডিয়ো ফুটেজ পুলিশকে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। আদালত সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ফের শুনানি। তবে বারুইপুর পুলিশ সুপারের দফতরের বাইরে কর্মসূচির অনুমতি এদিন দেন বিচারপতি। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শুভেন্দু অধিকারী থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।