পুর দুর্নীতি মামলায় কেস ডায়েরি কোথায়, প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চের। উত্তরে সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী বলেন, ১৭ পুরসভার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা চলছে। তাই প্রচুর পাতার নথি রয়েছে। সেক্ষেত্রে কেস ডায়েরি আনতে অসুবিধা রয়েছে। এই উত্তর শোনার পরই ভর্ৎসনার মুখে পড়ে সিবিআই।
কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে খবর, মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বেঞ্চে অয়ন শীলের মামলার শুনানি ছিল। এদিন বিচারপতি সিবিআই-এর কাছে কেস ডায়েরি তলব করেন। এদিকে সিবিআইয়ের তরফ থেকে তাদের অপারগতার কথা জানাতেই ক্ষুব্ধ হতে দেখা যায় বিচারপতিকে। এরপরই বিচারপতি জানতে চান, ‘বিশাল নথি আনতে অসুবিধা? কটা ট্রাক লাগবে আপনাদের?’
আদালত সূত্রে এ খবরও মিলেছে, সিবিআই-এর তরফে আর্জি জানানো হয়েছিল, কেস ডায়েরির বদলে রিপোর্ট ফাইল করতে দেওয়া হোক। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে দেন বিচারপতি। তিনি স্পষ্ট করে দেন, ‘কেস ডায়েরি ছাড়া শুনব না। এটি দুর্নীতির মামলা।’ বুধবার ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, ইডি মামলায় ইতিমধ্যেই জামিন পেয়েছেন অয়ন শীল। ১০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান। কিন্তু অয়ন শীলের জেলমুক্তি হয়নি তাঁর। কারণ সিবিআই-ও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছে। গত বছরের মার্চ মাসে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন অয়ন শীল। এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ তিনি। গ্রেফতারির আগে অয়নের বাড়ি, ফ্ল্যাট এবং অফিসে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক নথিও উদ্ধার করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তার মধ্যে ছিল অনেক ওএমআর শিটের জেরক্স কপিও।