এসএসসির চেয়ারম্যানকে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি আদালতের

এসএসসি চেয়ারম্যানকে এজলাস থেকে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চের। উচ্চপ্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় বুধবার এজলাসে ডেকে পাঠানে হয় এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারকে। কারণ, হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও ভূগোলে নিয়োগ না পেয়ে আদালত অবমাননার মামলা হয়। এর উত্তরে এসএসসির তরফে জানানো হয়, ভূগোলে ওবিসিদের মেল সিট না থাকায় চাকরি দেওয়া যায়নি। এহেন জবাবের পরই বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘এটা এসএসসি-র ভুল। তার দায় এসএসসি’র। গ্রেফতার করে জেলে পাঠাব চেয়ারম্যানকে এজলাস থেকে।’
এরই পাশাপাশি বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ও বলেন,’নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর সময় দুটো ভাগে শূন্যপদ ঠিক হয়। ঘোষিত শূন্যপদ আর বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পর সম্ভাব্য শূন্যপদ। তাহলে এখন কেন এসএসসি বলছে ভুগোলে শূন্যপদ নেই?’
হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন বলে, উচ্চপ্রাথমিক নিয়োগ মামলা হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে শিলমোহর দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তারপরেও হাইকোর্টের নির্দেশ মতন যোগ্য হয়েও চাকরি পাননি একজন। এখন এসএসসি এসে যদি বলে নানা সমস্যায় করা যায়নি তা কেন মানবে আদালত। গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গেছে। এসএসসি চাকরি না দেওয়ার এমন অজুহাত দেখাতে পারে না। এরই রেশ ধরে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী বলেন,’যদি এসএসসি চেয়ারম্যান সমাধান করতে না পারেন, আদালত তা মেনে নেবে না। ভূগোলের আসন নিয়ে এসএসসি রাজ্য সরকার নাকি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবে, সেটা তাঁদের সমস্যা। এসএসসি তাহলে কীসের জন্য রয়েছে সে প্রশ্নও এদিন তোলেন বিচারপতি। কারণ, এই ধরনের সমস্যা যাতে না হয় তার দেখার দায় এসএসসি-র। ফলে  এসএসসি-র জন্য সমস্যা, তা মেটাতে হবে এসএসসি-কেই। আদালতের নির্দেশ মতো উচ্চপ্রাথমিকের নিয়োগ তালিকার প্রত্যেককে চাকরি দিতে হবে। শেষ সুযোগ দিচ্ছে আদালত। চাকরি এরপরে না পেলে হাইকোর্ট কড়া পদক্ষেপ নেবে৷’ এরপরই বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন,’স্কুল বাাইয়ের জন্য যখন কাউন্সেলিং এসএসসি করে  তাহলে নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির শূন্যপদ নেই কেন? রাজ্য সরকার অনুমতি দিলে আমরা করে দেব৷ বা আদালতের কাছে আদেশ প্রার্থনা করতে হবে কেনো? ভূগোলে ৪৪ শূন্যপদের ৩৬ নিয়োগ সম্পূর্ণ। বাকি নিয়োগের ক্ষেত্রে এসএসসি সমস্যায় থাকলে সমস্যা তাদেরকে মেটাতে হবে।’ একইসঙ্গে আদালতের নির্দেশ, ‘শিক্ষামন্ত্রী হোক বা রাজ্যের যে কেউ, কাকে বললে সমাধান হবে তা খুঁজে বের করে সমাধান করুন, মন্তব্য বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের। আদালত সূত্রে খবর, আগামী ১৬ মে মামলার পরবর্তী শুনানি। নিয়োগ কীভাবে জানাতে হবে, সেদিন সবটা জানাতে হবে আদালতকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − eleven =

preload imagepreload image