সিভিক পুলিশ ও গ্রিন পুলিশ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ভর্ৎসনার মুখে নগরপাল

শিয়রে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্যে এসেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। সোমবার রাজ্যের পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় কমিশনের ধমক খেতে দেখা গেল কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলকে। কমিশন বলল, ‘আপনারা এটা মনে করবেন না যে আমরা না জেনে বসে আছি। সেই ভেবে কথা বলবেন ও উত্তর দেবেন।’ নির্বাচন কমিশনের কলকাতা পুলিশের ওপর বিরক্তি প্রকাশ করে ভর্ৎসনার পিছনে কারণও রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে সূত্রে। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, এদিনের বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন কমিশন কলকাতার নগরপালের কাছে প্রশ্ন করেছিল, সিভিক ভলান্টিয়ার ও গ্রিন পুলিশ কী তা নিয়েই। সেই প্রশ্ন শুনে কলকাতার সিপি বিনীত গোয়েল বলেন, ‘একই টাইপের’। আর এ কথা শুনেই বেজায় বিরক্ত হয় কমিশন। সিপির উদ্দেশে কমিশন বলে, ‘জেনে কথা বলুন। পার্থক্য বুঝুন। তারপরে বলুন।’

এরপরই এদিন কমিশনের ফুল বেঞ্চের বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে কোনও ভাবেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার করা যাবে না। অতীতে বাংলায় ভোট ঘিরে যে অশান্তির অভিযোগ উঠে এসেছে, সে প্রসঙ্গও এদিন স্মরণ করিয়ে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফ থেকে অত্যন্ত কড়া ভাষায় জানানো জানানো হয়, একটাও বোমাবাজির ঘটনা যেন না শুনতে হয়। কমিশন আরও জানিয়ে দিয়েছে, জামিন অযোগ্য ধারা প্রথম দফার আগে কার্যকর করতে হবে। তার আগেই কমিশনের কাছে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এরই পাশাপাশি জেলা শাসক, পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারের উদ্দেশে এদিন কমিশনের বার্তা, ‘যা বলার আছে বলুন। সমস্যা বলুন। এখনের রিপোর্ট আর পরবর্তী রিপোর্ট যেন একই থাকে, আলাদা হলে মুশকিল। আমরা কিন্তু বেশি সময় দেব না।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − one =