জনগর্জনের জেরে ডার্বি বাতিল হতেই শুরু সমালোচনা

১০ মার্চ কলকাতায় ছিল এক বড় ইভেন্ট। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ডার্বি। যে ম্যাচ নিয়ে এখনও শুধু কলকাতা কেন সারা বঙ্গ উত্তাল হয়। এদিকে ওইদিনই রয়েছে ব্রিগেডে তৃণমূলের ‘জনগর্জন’। খুব স্বাভাবিক ভাবেই ওইদিন তৃণমূলের এই ব্রিগেড সমাবেশ ঘিরে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের কাতারে কাতারে ভিড় উপচে পড়বে ব্রিগেডে। আর এই জনগর্জনের কারণেই আইএসএল-এর এই ডার্বি ম্যাচকে শেষ পর্যন্ত বাতিল করতেই হল। কারণ, তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের দিনেই ডার্বির মতো বড় ম্যাচ আয়োজন করতে দিতে কোনওভাবেই রাজি নয় কলকাতা এবং রাজ্য পুলিশ।

এদিকে প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিক কাটাছেঁড়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। ডিওয়াইএফআই-এর তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, মুখ্যমন্ত্রী বারবার দাবি করেন, তাঁর সরকার নাকি বাংলার খেলাধুলোর পাশে আছে। অথচ তাঁর দলের খামখেয়ালি সিদ্ধান্তে আঘাত পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের অগণিত সমর্থকের আবেগ।’

বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তথা বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও এই নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ডার্বির দিনেই তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ স্থির করার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে শঙ্কর বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর তথাকথিত আবেগ শুধুমাত্রই রাজনীতি সর্বস্ব। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের নাম তিনি ব্যবহার করেছেন তাঁর রাজনীতির স্বার্থে।’ সঙ্গে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের আরও সংযোজন, ‘ভোটের সময় রাজনৈতিক স্বার্থ ক্লাবের স্বার্থের থেকে ঊর্ধ্বে। তাই তিনি রাজনৈতিক স্বার্থকেই সামনে রেখে জনসভার ডাক দিয়েছেন। তাতে ডার্বি হল কি হল না, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর কিছু যায় আসে না।’

কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায়ও কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মুখে যা বলেন, মনে সেটা বিশ্বাস করেন না। উনি ভোট-সর্বস্ব রাজনীতি করেন। ভোটের জন্য তিনি সব ত্যাগ করতে পারেন। ১০ তারিখের জায়গায় এটি ১১ তারিখ বা ৯ তারিখ হলে কোনও সমস্যা হত না। কিন্তু কলকাতা পুলিশকে তিনি কার্যত দলদাসে পরিণত করেছেন।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − 3 =