কুমির বিশেষজ্ঞ হিসেবেই লোকে চেনেন অ্যাডাম ব্রিটনকে। ভালবাসেন বন্যপ্রাণ। তবে অন্ধকার কুঠুরিতে সেই বন্যপ্রাণীদের সঙ্গেই যে কী কী নৃশংশ অত্যাচার করেছেন, তার হিসাব নেই। আর সেই কারণেই ২৪৯ বছরের সাজা দেওয়া হল কুমির বিশেষজ্ঞ অ্যাডাম ব্রিটনকে।কারণ, তাঁর বিরুদ্ধে ৪০-রও বেশি কুকুরকে বন্দি করে রাখা, ধর্ষণ, অত্যাচার ও খুন করার অভিযোগ রয়েছে। পৃথিবীর সবথেকে নৃশংস পশুদের উপরে অত্যাচারকারীর তকমা দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
দ্য মিররের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ার এই কুমির বিশেষজ্ঞের বিরুদ্ধে ৬০টিরও বেশি অভিযোগ রয়েছে পশুদের উপরে নৃশংস অত্যাচার করার। গত বছরই হদিস মেলে তাঁর ‘টর্চার রুমে’র। জাহাজের কন্টেনারের মধ্যে কুকুরদের নিয়ে গিয়ে তাদের সঙ্গে ঘৃণ্য অত্যাচার চালাত অ্যাডাম। কুকুরদের ধর্ষণ, খুনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাও আবার ২-৫টা নয়, ৪০টিরও বেশি কুকুরের উপরে এমনই অত্যাচার করেছে অ্যাডাম। আদালত তাঁকে ২৪৯ বছরের সাজা দিতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে কুমির বিশেষজ্ঞ।
১৯৭১ সালে পশ্চিম ইয়র্কশায়ারে জন্ম অ্যাডাম ব্রিটনের। লিডস ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি জুলজি নিয়ে পড়াশোনা করেন। এরপর ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করেন। চার্লস ডারউইন ইউনিভার্সিটিতে সিনিয়র রিসার্চার হিসাবে কাজ করার সময়ই তাঁর বিরুদ্ধে অগুনতি অভিযোগ ওঠে পশুদের উপর অত্যাচারের। অ্যাডামের বিরুদ্ধে শিশুদের যৌন নির্যাতনের জিনিস রাখারও অভিযোগ রয়েছে।
মামলার শুনানি চলাকালীন অ্যাডামে আইনজীবী দাবি করেছিলেন, এই অপরাধের জন্য সম্পূর্ণভাবে অ্য়াডামকে দায়ী করা যায় না। তাঁর প্যারাফিলিয়া রয়েছে, যে কারণে সে পশুদের উপরে এমন নির্যাতন করেছে। প্রসঙ্গত, প্যারাফিলিয়া হল অস্বাভাবিক যৌন আচরণ বা ইচ্ছা, যেখানে পশুর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের ইচ্ছা জাগে।