বাংলার যে কোনও উৎসবের সঙ্গে জড়িয়ে আল্পনা। এ যেন বাংলার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার। দুর্গাপুজোর এই বর্ণাঢ্য উদযাপন হিসাবে টাটার উদ্যোগ, ক্রোমা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পোর্ট ট্রাস্টের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রবাদপ্রতিম হাওড়া ব্রিজে এক অভিনব অপূর্ব আলপনা অঙ্কন। এই আলপনা আঁকা হয়েছে ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের মোটিফের উপর ভিত্তি করে, যেখানে মানুষের জীবনে ইলেকট্রনিক্সের গুরুত্বের এক বার্তা দেয়। এই ঐতিহ্য ও উদ্ভাবনের সংমিশ্রণে এক চমকপ্রদ শিল্পকর্মের নিদর্শনের হাত ধরেই শহরে যেন শুরু হয়ে গেল বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো।।
হাওড়া ব্রিজে আঁকা অতিকায় এই আলপনার মাধ্যমে ক্রোমা তার ক্রেতাদের সঙ্গে এক গভীর সংযোগ স্থাপনের পাশাপাশি প্রযুক্তির মাধ্যমে তাঁদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের বার্তাও দিল। ক্রোমার তরফ থেকে দাবি করা হয়, ক্রোমা যা কিছু করে সবই যে ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে এবং তাঁদের প্রতি দায়বদ্ধতার কারণেই। এখানে বলে রাখ শ্রেয়, দক্ষ এবং জনপ্রিয় শিল্পী সঞ্জয় পাল ও তাঁর দলের করা এই অপূর্ব আলপনা আঁকার কাজে যুক্ত ছিলেন অন্বেষক দাঁ এবং গভমেন্ট আর্ট কলেজের ৮০ জনের বেশি ছাত্রছাত্রী। এঁদিরে হাতেই এই আল্পনার মধ্যে ফুটে উঠেছে কলকাতার মেজাজ এবং শৈল্পিক ঐতিহ্য এবং বৈচিত্র্যে ভরা সংস্কৃতিকে। এই সব কিছুর পরিকল্পনা ক্রোমা টিম আর ফিউচুয়েরা ইনকর্পোরেটেডের, যা বাস্তবায়িত করেছে দ্য ব্র্যান্ড স্ট্রিট।
এই উপলক্ষে ক্রোমার চিফ অপারেটিং অফিসার শিবাশিস রায় জানান, ‘আমরা ২০১৯ সালে কলকাতায় আমাদের প্রথম স্টোর লঞ্চ করি। তারপর থেকে গত দুবছরে আমরা দ্রুত ব্যবসা বড় করেছি। চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মেলাতে ১৪টা স্টোরও চালু করেছি। আমরা উৎসবে যোগ দিতে এবং স্থানীয় মানুষের আবেগের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করতে পেরে আপ্লুত। আমরা এখানে এসেছি ক্রেতাদের ইলেকট্রনিক জিনিসপত্রের কেনাকাটার অভিজ্ঞতার পরিপূরক হিসাবে কাজ করতে। এক ছাদের তলায় গ্যাজেটের এক বিস্তীর্ণ সম্ভার নিয়ে আমাদের লক্ষ্য এবারের পুজোকে প্রত্যেকের জন্য একেবারে অন্যরকম করে তোলা।’ উপরন্তু স্থানীয় মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে এবং তাঁদের সচেতনতা বাড়াতে ও নিজেদের অফারগুলো বাড়াতে ক্রোমা স্থানীয় মানুষের সঙ্গে মিশে মল অ্যাক্টিভেশন করছে, যেখানে ক্রোমা ওন লেবেল প্রোডাক্টও থাকছে।
এখানে বলে রাখা শ্রেয়, শহর জুড়ে পুজো প্যান্ডেলগুলোতেও ক্রোমাকে দেখা যাবে। মুদিয়ালি ত্রিকোণ পার্ক, চোরবাগান সার্বজনীন, দমদম তরুণ দল, আহিরীটোলা, বাগবাজার সার্বজনীন আর মুদিয়ালি শিবমন্দিরে ক্রোমা প্রযুক্তিগত সমাধানের মাধ্যমে যা কলকাতার উৎসবের মেজাজের সঙ্গে পরতে পরতে জড়িয়ে গেছে।