রাজভবনের নতুন ভাবনা ‘পায়ে-পায়ে সাতাত্তর’। অর্থনৈতিক ভাবে সাহায্যের হাত বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। বুধবার থেকে এই লক্ষ্যে এগোবে রাজভবন। সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যপাল স্বয়ং। রাজভবন সূত্রে খবর, তফশিলি জাতি-উপজাতি, সমাজে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির এমন ৭৭ জনের পাশাপাশি, ক্রীড়া ক্ষেত্রে প্রতিভাবান ৭৭ জনকে দেওয়া হবে আর্থিক সাহায্য। এই তালিকায় রয়েছেন পড়ুয়ারাও। বিভিন্ন দিক থেকে মেধাবী ও পারদর্শী ৭৭ পড়ুয়া পাবেন আর্থিক সাহায্য। এছাড়াও ৭৭ জন উদ্যোগপতী মহিলা, অন্যরাজ্যে কাজ করা ৭৭ জন বাঙালি শ্রমিক, আদিবাসী অঞ্চলে বসবাসকারী ৭৭ জন প্রবীণ নাগরিক, উঠতি ৭৭ জন লেখক ও শিল্পী, এছাড়া ৭৭ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও শিক্ষক, ৭৭ জন মিডিয়ায় কর্মরত মানুষ। এছাড়াও যাঁরা নতুন অর্থাৎ উঠতি সাংবাদিকদের নিয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক এবং পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের ৭৭ জন পড়ুয়ারা পাবেন রাজভবনের তরফ থেকে এই আর্থিক সাহায্য।
মঙ্গলবার একাধিক বিষয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সি ভি আনন্দ বোস। প্রতিক্রিয়া দেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েও। বলেন, ‘অন্ধকার থাকলেও আলো আছে। নিশ্চয়ই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খুব শীঘ্রই সে খবর পাবেন। আমি ছাত্র-শিক্ষক-সহ সবার সঙ্গে কথা বলছি। সব বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি। খুব শীঘ্রই বাস্তবায়িত হবে।’ রাজ্যপালের এই বক্তব্যের পর অনেকেই ধারনা করছেন এবার উপাচার্য পেতে চলেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।