৩০০ ব্যাঙ্কে সাইবার হানা!

দেশের ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের ওপর সাইবার অ্যাটাকের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল অনেক আগেই। সব ব্যাঙ্ককে এনিয়ে সতর্কও করে দিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। একইসঙ্গে এও বলা হয়েছিল, চব্বিশ ঘণ্টাই সাইবার নিরাপত্তায় ব্যাঙ্কগুলিকে নজরদারি চালানোর। যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় তৈরি থাকতে হবে সব ব্যাঙ্কের সাইবার সেলকে। অবশেষে আশঙ্কাই তাই সত্যি হল। ১ অগাস্ট । ১ মাসের মধ্যে সেই সাইবার অ্যাটাক হল। নিউজ এজেন্সি রয়টার্স বলছে পুরো ঘটনাটা জানে, এমন দুটো সোর্স থেকে তারা এই খবর পেয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তাঁদের প্রশ্নের উত্তর দেয়নি। তবে, ইউপিআই যাঁরা চালায় সেই ন্যাশানাাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার পদক্ষেপে কিন্তু বোঝা যাচ্ছে বিষয়টা গুরুতর। যতটুকু খবর পাওয়া যাচ্ছে, সেটা যথেষ্ট বিপদের বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

দেশে প্রায় দেড় হাজার সমবায় ও আঞ্চলিক ব্যাঙ্ক রয়েছে। এগুলি ছোট ব্যাঙ্ক বলেই পরিচিত। এর মধ্যে প্রায় ৩০০ ব্যাঙ্কের পেমেন্ট সিস্টেম সাইবার হানায় থমকে গেল। এইসব ছোট ব্যাঙ্কের পেমেন্ট সিস্টেম দেখভাল করতো টেকনোলজিস নামে একটি সংস্থা। এটি টিসিএস এবং এসবিআই-এর জয়েন্ট ভেঞ্চার। তাদের সিস্টেমে সাইবার অ্যাটাক হওয়ার কারণেই তাদের ক্লায়েন্ট এই ৩০০ ব্যাঙ্কের পেমেন্ট সিস্টেমে সাময়িক সমস্যা তৈরি হয় বলে রয়টার্সের দাবি।

আরবিআইয়ের মতো সি-এজ টেকনোলজিস-এরও কোনও কর্তা এনিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। তবে ন্যাশানাল পেমেন্ট করপোরেশন অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে যে তারা সাময়িকভাবে সি-এজ-টেকনোলজিস-কে কোট আনকোট আইসোলেট করেছে। তারা গোটা বিষয়টা খতিয়েও দেখছে। মানে এই খতিয়ে দেখার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত যেসব ব্যাঙ্ক সি-এজ টেকনোলজিসের কাছ থেকে সার্ভিস নেয় তাদের ক্লায়েন্টরা ইউপিআই পরিষেবা পাবেন না। বলা হয়েছে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য সমস্তকিছু পরীক্ষা করে দেখছে এনপিসিআই।  ছোট ব্যাঙ্কগুলির পেমেন্ট সিস্টেমে গণ্ডগোল হওয়ায় সারা দেশে যত ব্যাঙ্ক ট্রানজাকশন হয় তার মাত্র শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ ট্রানজাকশন সাইবার হানায় করা যায়নি। ফলে, এই যাত্রায় বিপদ অল্পের ওপর দিয়েই গেছে। কিন্তু বড় বিপদ যে কোনও দিন আসবে না, তা হলফ করে বলা যাচ্ছে না বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − three =