অর্থ হাতিয়ে নিতে এবার নয়া প্রতারণার ফাঁদ সাইবার প্রতারকদের

অর্থ হাতিয়ে নিতে নয়া প্রতারণার ফাঁদ প্রতারকদের। আর এই নতুন ফাঁদে পড়েই ১৪ লক্ষ টাকা খোয়ালেন এক বেহালার বছর ৭০-এর সুজিত সেন। হঠাৎই সুজিতবাবুর নজরে আসে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সেভিংস ও ফিক্স ডিপোজিট মিলে ১৪ লক্ষ টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে। সেভিংস ও ফিক্সড ডিপোজিট মিলিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা কার্যত উধাও হয়ে গিয়েছে। আপাতত থানা, সাইবার সেল ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। কেউ যদি টাকাটা ফিরিয়ে দিতে পারেন!

নয়া এই ফাঁদে সুজিতবাবু পড়েন ফ্রিজ কিনবেন বলে। গত ২৩ মে গুগলে সার্চ করতে গিয়ে সেখান থেকে এক টোল ফ্রি নম্বর নম্বর পান তিনি। সেই নম্বরে ফোন করলে ধরেনি কেউ। তবে কিছুক্ষণ পরে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। তিনটে কোম্পানির রেফ্রিজারেটর নিয়ে কথাও বলে। সুজিতবাবু জানান, তাঁকে স্ক্রিনে কয়েকটা জায়গায় বলল টাচ করতে। ওটিপি বা পিন নম্বর চাইলে আমি কখনওই দিতাম না। কিন্তু স্ক্রিন টাচের বিষয়টা না বুঝে করে ফেলি। তারপরই ২৩ তারিখ সন্ধ্যা থেকে ফোন কাজ করা বন্ধ। ফোনের দোকানে গেলে জানানো হয় সিমের গোলমাল। এরপর নতুন সিম নিতে গিয়ে বায়োমেট্রিক করতে গিয়ে জানতে পারেন আমার আধার নম্বর লক করা হয়েছে।

এরইমধ্যে ২৮ তারিখ তিনি এটিএমে ব্যালেন্স চেক করতে যান। সেখানে পিন নম্বর ‘ইনকারেক্ট’ বলায় তাঁর সন্দেহ হয়। পরদিনই ছেলে ব্যাঙ্কে গিয়ে জানতে পারেন, তাঁর বাবার সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে ৪ লক্ষ ৩৫ হাজার ১৭ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয়। আরও মারাত্মক অভিযোগ সুজিতবাবুর। পাশাপাশি এও জানান, গত বছর গার্ডেনরিচে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়ে এফডি করেছিলাম। সেটাও নেই। আমার নামে ওডি নিয়ে ১০ লক্ষ ২০ হাজার টাকাও তুলে নিয়েছে। অথচ সার্টিফিকেট আমার কাছে। ব্যাঙ্কে যে কী চলছে জানি না। আমার কাছে সার্টিফিকেট, কেউ টাকা তুলে নিল কীভাবে তার কোনও জবাব নেই। যদিও ওই শাখার ব্যাঙ্ক ম্যানেজার রাকেশ কুমার জানান, ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ে কাউকে ভুল করে গ্রাহক যদি তথ্য জানিয়ে দেন, তাহলে তা করতে পারে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight − two =