বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপ প্রভাব দেখাতে শুরু করেছিল আর তার সঙ্গে দোসর এবার ঘূর্ণাবর্ত৷ নিম্নচাপ ক্ষেত্রটি বিস্তৃত বাংলাদেশ এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায়।অন্যদিকে সাইক্লোনিক সার্কুলেশনটি সমুদ্রতল থেকে ৫.৮ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে৷ এটি দক্ষিণ পশ্চিম দিকে হেলে রয়েছে৷ এটি উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে৷এর প্রভাবে ১৯ তারিখ তোলপাড় হবে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকা এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের অর্থাৎ কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা৷এরপর এটি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড হয়ে উত্তরপ্রদেশের দিকে এগিয়ে যাবে৷ এই অ্যাকটিভ ওয়েদার চ্যানেলগুলির জেরে আগামী ২০ তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে৷ এদিকে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ৭–১১ সেমি পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে৷ এর জেরে এই জেলাগুলিতে জারি করা হয়েছে ইয়েলো অ্যালার্ট৷ হুগলিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ তোলপাড় হতে পারে এই জেলায় আগামী ৪৮ ঘণ্টায় জারি হয়েছে অরেঞ্জ অ্যালার্ট৷এছাড়া পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়াতেও জারি করা হয়েছে অরেঞ্জ অ্যালার্ট৷ অরেঞ্জ অ্যালার্টের জেলাগুলিতে ৭ থেকে ২০ সেমি পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে৷ এর পাশাপাশি ২০ তারিখ পর্যন্ত প্রতিটা জেলাতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সময় বজ্র–বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস জারি করেছে আইএমডি–র কলকাতা শাখার ওয়েদার আপডেটে৷ তবে দক্ষিণ বৃষ্টিতে ভাসলেও উত্তরবঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টায় আকাশ পরিষ্কার থাকার সম্ভাবনা৷ তবে মঙ্গলবারের পর থেকে উত্তরবঙ্গে ফের বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পাবে৷ তবে এক দুদিনের বৃষ্টিপাতে ইয়েলো অ্যালার্ট থাকলেও এরপরে বৃষ্টির পরিমাণ ফের কমবে উত্তরবঙ্গে৷
আবারও দক্ষিণবঙ্গে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সর্তকতা হাওয়া অফিসের। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা। বঙ্গোপসাগরের সৃষ্টি হয়েছে নিম্নচাপ।এই নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সর্তকতা। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। উইক এন্ড তো বটেই আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে ।দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সতর্কতা থাকলেও উইক এন্ডে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। বজ্র–বিদ্যুৎ–সহ বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গে।উত্তর–পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট হওয়া ঘূর্ণবাত নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এই নিম্নচাপ আরও শক্তি বাড়াবে। শক্তি বাড়িয়ে ক্রমশ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসবে।
গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে এই নিম্নচাপ ঝাড়খণ্ডের দিকে প্রবেশ করবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এই নিম্নচাপের প্রভাবেই দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় প্রবল বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সমুদ্র উত্তাল থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া দফতর। দক্ষিণবঙ্গের নদিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান ও কলকাতায় ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি।
দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির হলুদ সর্তকতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী রবিবার দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় ভারী বৃষ্টি চলবে। বিশেষ করে উপকূলবর্তী জেলা ও বাংলাদেশ সংলগ্ন জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি চলবে। সেই সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বজ্র–বিদ্যুৎ– সহ বৃষ্টি চলবে।
বৃষ্টির পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে উইকএন্ডে। উত্তরবঙ্গে উইকএন্ডে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও, সোমবার থেকে আবারও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলে জেলার পাশাপাশি অন্যান্য জেলায়।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার আকাশ শনিবার সকাল থেকেই মেঘ আংশিক মেঘলা। শুক্রবার জেলা জুড়ে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। দিঘাতেও বৃষ্টি হয়েছে। শনিবার দিঘা সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সর্বত্রই ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস।
একদিকে বৃষ্টি অন্যদিকে ঝোড়ো হওয়ায় উত্তাল থাকবে সমুদ্র। মৎস্যজীবীদের মঙ্গলবার পর্যন্ত সমুদ্রযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা। নিম্নচাপের কারণেই দিঘা সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া। শনিবার সকাল পর্যন্ত দিঘা সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বৃষ্টি হয়েছে প্রায় ১০ মিলিমিটার।
দক্ষিণবঙ্গে রবিবার সব জেলাতেই ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। সকাল থেকে দিঘা সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার আকাশ সকাল থেকেই মেঘলা। ২৪ ঘন্টায় দিঘার আবহাওয়া ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।