বুধবার শহরে বঙ্গ রাজনীতির হাওয়া ছিল বেশ উত্তপ্ত। একদিকে যখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বক্তব্য রাখছিলেন ধর্মতলায় সেই সময় মহার্ঘভাতা নিয়ে সরগরম ছিল বিধানসভা। আর এই মহর্ঘভাতা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘ডিএ বাধ্যতামূলক নয়, ঐচ্ছিক বিষয়’। সঙ্গে এও বলেন, ‘কারও যদি কোনও আপত্তি থাকে সেক্ষেত্রে গিয়ে কেন্দ্র সরকারি চাকরিতে যোগদান করুক। কাউকে বাধা দেওয়া হয়নি। আমরা কাউকে আটকায়নি।’
প্রসঙ্গত, এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। চলতি অর্থবর্ষে তাঁদের ডিএ তিন শতাংশ বৃদ্ধি করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, তাতেও ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি তাঁদের বরং আরও জোরাল হয় আন্দোলন। এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মনে রাখুন কেন্দ্র তিন থেকে চার দিন ছুটি দেয়। আমরা সেখানে ৪০ থেকে ৪৫ দিন ছুটি দিয়ে থাকি। এই বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন। আমরা দশ বছরে একবার বিদেশ যাওয়ার ব্যবস্থা করেছি।’ পাশাপাশি মমতা এদিন এও জানেন, ‘কেন্দ্রের কর্মীরা তাদের কাঠামো অনুযায়ী চলে। সেই অনুযায়ী বেতন বা ডিএ পায়। তারা কেউ চাইলে সেখানে যোগ দিতে পারে। ভুলে গেছেন, বছরে তারা ৩-৪ দিন বাড়তি ছুটি পান। আমাদের এখানে যে ৪০ দিন ছুটি পান তাও তো ভ্যালু অ্যাড করতে হবে। এই সরকারই একমাত্র বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এআইসিপিআই অনুসারে, ডিএ-র দাবিতে সরব রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। এই নিয়ে আইনি লড়াইও করা হচ্ছে। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ গিয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের পক্ষেই। আপাতত মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। এদিকে শহিদ মিনারের পাদদেশে দীর্ঘ সময় ধরে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সার্বিক প্রেক্ষাপটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বার্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।