অগ্নিমূল্য সবজি। প্রথমে পুজোর আগে বন্যার পরিস্থিতি বিভিন্ন জেলায আর পুজোর পরই ডানা ঘূর্ণিঝড়ে সবথেকে ক্ষতির মুখে বাংলার কৃষকেরা। পুজোর আগে বন্যার আবহেই সবজির দাম য়ে অগ্নিমূল্য হতে চলেছে তার আভাস কিন্তু স্পষ্টভাবেই দিয়েছিলেন কৃষকেরা। এরপর গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে হাজির হয ডানা। এবার ডানা বিদায নিতেই কলকাতার বাজারগুলোতে বাস্তবিকই অগ্নিমূল্য সবজি। বিক্রেতারা বলছেন, বর্তমানেযাঅবস্থাতাতেকালীপুজোরসময়আরওবাড়তেপারেদাম।
এদিকে ডানার প্রভাবে বৃহস্পতি–শুক্রর একটানা বৃষ্টিতে জেলায় জেলায় জমিতে জমেছে জল। জমিতেই পচেছে সবজি। জোগানে পড়ছে টান। আর সেই কারণেই অগ্নমূল্য সবজির বাজার, এমনটাই জানাচ্ছেন কৃষক থেকে বিক্রেতারা। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে সেই উত্তর নেই কারও কাছেই। চিন্তার ভাঁজ সবার কপালেই।
এর পাশাপাশি খুচরোবিক্রেতারা আরও আশঙ্কার কথা শুনিয়ে বলেছেন, সবজি পচে গেলে পাইকারি বাজারেও দাম অনেক বাড়বে।তাতে তাঁদেরও বেশি দাম দিয়ে সবজি কিনে আনতে হবে।এরফলে চাপ বাড়বে ক্রেতাদের।
এদিকে রবিবার ছুটির দিনে কলকাতায় একাধিক বাজারে বেগুন বিক্রি হয় একশো টাকা কিলো দরে। মানিকতলা বাজারে কাঁচা লঙ্কা বিক্রি হতে দেখা গেছে প্রায় দেড়শো টাকা কিলো দরে, ভেন্ডি ৬০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, টম্যাটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। বাকি শাক–সবজির দামও মোটের উপর ঊর্ধ্বমুখী।
বিনসের দাম ইতিমধ্যেই ডাবল সেঞ্চুরি করে ফেলেছে। বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কিলো দরে। গাজর সেখানে প্রায় ৮০ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি তো ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, নতুন করে জমিতে ফলন না হলে জোগান বাড়বে না সবজির। আর তা না হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হচ্ছে না।