আরজি করের ‘ক্রাইম সিনে’ কোনও বদল ঘটানো হয়েছিল কি না বা প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চলেছিল কি না তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে তদন্তের প্রথম থেকেই। এরই মধ্যে নির্যাতিতার বাবা ‘চাদরের রঙ’ নিয়ে যে তথ্য সামনে এনেছেন, তাতেই বাড়ে বিতর্ক। তিনি দাবি করেন, তাঁর মেয়ের দেহে ঢাকা দেওয়ার চাদর বদলে দেওয়া হয়েছে। এবার সেই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে আসরে নামল কলকাতা পুলিশ। এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকও করেন ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। বর্তমানে সিবিআই-এর অধীনে আরজি কর ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। এরই মধ্যে ‘চাদরের রঙ’ নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনাস্থলের যে ছবি সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে নির্যাতিতার দেহ ঢাকা ছিল নীল চাদরে। সংবাদমাধ্যমেও সেই ছবি প্রকাশ্য়ে এসেছে। কিন্তু তিলোত্তমার বাবার দাবি, তাঁরা যখন মেয়েকে দেখতে যান, তখন দেখেন মেয়ের দেহ সবুজ চাদরে ঢাকা। আর এখানেই চাদর বদলে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডিসি সেন্ট্রাল বলেন, চাদরটা কিন্তু নীল ছিল। আমাদের কেস ডায়েরি, যাতে সব ফটোগ্রাফি বা ভিডিয়োগ্রাফি ছিল, সেখানেও এই নীল রঙই আছে। আমাদের ডেটা রেকর্ডে নীল রঙই আছে। বর্তমানে সিবিআই-এর কাছে কেস ডায়েরি আছে। যাচাই করা যেতে পারে। নীল ছাড়া অন্য কোনও রঙের চাদর আমাদের রেকর্ডে নেই। প্রশ্ন ওঠে লাল চাদর নিয়েও। ঘটনার দিন লাল চাদরের কথা বলা হয়েছিল। প্রথমে লাল চাদর নিয়ে আইপিএস ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় কোনও উত্তর দিতে না চাইলেও পরে তিনি জানান লাল রঙের একটি চাদর ঘটনাস্থলে ছিল। তিনি বলেন, সিজার লিস্টে লাল চাদর রয়েছে। অর্থাৎ ঘটনাস্থলে একটি লাল চাদর ছিল। কিন্তু সেটা দেহ ঢাকা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়নি।