‘মৃত্যুমিছিল বাড়ছে আর কেন্দ্রীয় বাহিনী বসে পাউরুটি-ঘুঘনি খাচ্ছে,’ তোপ অধীরের

শনিবার পঞ্চায়েত ভোটের শুরু থেকেই একাধিক মৃত্যুর খবর সামনে আসতে শুরু করে। মুর্শিদাবাদেও মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজনের। পঞ্চায়েত ভোটের হিংসা নিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের পাশাপাশি কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপিকেও নিশানা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

কেন্দ্র এবং রাজ্য়ের শাসকদলের বিরুদ্ধে অধীর তোপ দেগে জানান, ‘দিল্লির বিজেপির সঙ্গে বাংলার তৃণমূলের সুন্দর বোঝাপড়া রয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রথমে আসেনি। পরে নিয়ে আসা নিয়েও গড়িমসি হয়। এসে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে বসে আছে। দিদি-মোদির বোঝাপড়া রয়েছে। এই যে ভোট হল, এটার ফায়দা বিজেপি নেওয়ার চেষ্টা করবে আগামী নির্বাচনে।‘ সঙ্গে এ প্রশ্নও তোলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী শুক্রবার রাতে এসে শনিবার উদ্ধার করবে?’ সঙ্গে কটাক্ষের সুরে এও জানান, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী বড় বড় স্কুলে বসিয়ে রেখেছে। সকালের খাবার দিয়েছে। সেখানে বসে পাউরুটি-ঘুঘনি খাচ্ছে। কী হচ্ছে এগুলো। এতো মানুষের মৃত্যুর কোনও কারণ ছিল না। বাংলায় মৃত্যুমিছিল বাড়ছে। বোমা-গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। পুলিশ আর মস্তান একসঙ্গে ভোট লুট করাচ্ছে। যেখানে মস্তানরা বাধা পাচ্ছে না, সেখানে একাই লুট করছে। আবার যেখানে বাধা পাচ্ছে সেখানে পুলিশ গিয়ে হামলা করছে। এটা একটা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলার মানুষরা মোকাবিলা করবেন।’

অধীর আরও বলেন, ‘বিজেপি চুপ করে আছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর নামে গড়িমসি করতে গিয়ে তারা দিদির হাত শক্ত করল। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক সন্ত্রাস হয়েছিল। সেই সন্ত্রাসকে মূলধন করে বিজেপি লোকসভা ভোটে লাভ করে ১৮টি সিট জিতেছিল। এবারও পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বিজেপি সুযোগ খুঁজছে। তাই তৃণমূলকে সুযোগ করে দিচ্ছে সন্ত্রাস করার।‘

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − 1 =