প্রাইভেট টিউশন পড়ানোয় প্রাণনাশের হুমকি বেহালায়

প্রাইভেট টিউশন পড়ানোর জেরে প্রাণনাশের  হুমকি দিয়ে বাড়ির সামনে লাগানো হল পোস্টার। ঘটনাস্থল বেহালা  সেনহাটি কলোনি। এই পোস্টার পড়ার পর খুব স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্কে ওই প্রাইভেট টিউটর অর্ণব গঙ্গোপাধ্যায়। চিন্তায় বাড়ির লোকজনও।

স্থানীয় সূত্রে খবর, অর্ণব গঙ্গোপাধ্যায় নামে ওই শিক্ষক মূলত বিজ্ঞান বিভাগ পড়ান। তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ, এর আগে প্রায় প্রায়ই তাঁদের বাড়ির সামনে চকোলেট বোমা ফাটানো হতো। প্রথম দিকে তেমন গুরুত্ব না দিলেও পরে বিষয়টি বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পৌঁছনোয় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়। একেবারে বাড়ির সামনেই বসান সেটি। এরপর থেকে চকোলেট বোমা ফাটানোর বিষয়টি ঘটেনি। কিন্তু সোমবার আচমকা এই পোস্টার সাঁটানো হয় বাড়ির দেওয়ালে। এরপরই যোগাযোগ করা হয় বেহালা থানার সঙ্গে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বেহালা থানার পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, সেনহাটি কলোনির বাড়িতে মা, বাবা, স্ত্রী ও ছোট্ট সন্তান নিয়ে থাকেন অর্ণব গঙ্গোপাধ্যায়। প্রায় ৬ বছর হয়ে গেল প্রাইভেট টিউশন পড়ান তিনি। সোমবার বিকেলে সন্ধ্যায় হঠাৎই বাড়ির সামনের দেওয়ালে এই পোস্টারটি দেখতে পান। একেবারে ল্যামিনেশন করে সেই পোস্টার লাগানো ছিল বলে জানান অর্ণববাবুর স্ত্রী স্ত্রী দেবযানী গঙ্গোপাধ্যায়। তাতে লেখা ছিল, ‘প্রাইভেট টিউশন পড়ানো না বন্ধ করলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে।‘

দেবযানীর দাবি, গত এক মাস ধরে নানা উৎপাত শুরু হয় বাড়ির সামনে। চকোলেট বোমা ফাটানো হতো বাড়ির সামনে। দেবযানী বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম খেলা চলছে বলে হয়ত উল্লাস। কিন্তু পরে একদিন খুব জোরে আওয়াজ হয়। বুঝতে পারি বাড়ির একেবারে সামনে চকোলেট বোমা ফাটানো হয়েছে। বেরিয়ে দেখি বাড়ির সামনে ভাঙা বাল্ব, কাচের বোতল পড়ে আছে।‘ যদিও কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাতে পারে, বুঝেই উঠতে পারছেন না গঙ্গোপাধ্যায় দম্পতি। তবে বাড়ির সামনে যে সিসিক্যামেরা বসানো তাতে এক যুবকের গতিবিধি ধরা পড়েছে। তবে মাথায় ছাতা এমনভাবে লাগানো, মুখ বোঝা যায়নি। তবে তিনিই যে পোস্টার সাঁটাচ্ছেন তা স্পষ্ট। এরই পাশাপাশি দেবযানীদেবী জানান, ‘সিসি ক্যামেরা লাগানোর পর উপদ্রব কমেছিল। এরপর হঠাৎ প্রাণনাশের হুমকি। ‘অর্ণব টিউশন পড়ালে তোর খেলা শেষ’ লেখা পোস্টারে। উপরে মার্কার দিয়ে লেখা ‘ডেথ থ্রেট।‘ এদিকে এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে বেহালা থানার পুলিশ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × four =