দিল্লির দুই রেস্তোরাঁর মধ্যে বাটার চিকেন ও ডাল মাখানি আবিষ্কারের কৃতিত্ব কার তা নিয়ে তুমুল ঠোকাঠুকি শুরু হয়েছে। এমনকী দিল্লি হাইকোর্টে মামলা পর্যন্ত হয়েছে। এক পক্ষ মোতি মহল। অন্য পক্ষ দরিয়াগঞ্জ। দুটিই রাজধানীর দুই নামী রেস্তোরাঁ চেন। বাটার চিকেন ও ডাল মাখানি আবিষ্কারের মুকুট কে পরবে তা নিয়ে চলছে দুই পক্ষের তুমুল আইনি লড়াই। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব নারুলার বেঞ্চে মামলাটি উঠেছে।
দিল্লি হাইকোর্ট সূত্রে খবর, মামলকারী পক্ষ মোতি মহল রেস্তোরাঁ। দরিয়াগঞ্জ রেস্তরাঁর মালিকদের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা ঠুকেছে তারা। মোতি মহলের দাবি, দরিয়াগঞ্জ রেস্তোরাঁ তাদের সঙ্গে নিজেদের নাম জড়িয়ে জনমানসে ভুল বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে। দেখাতে চাইছে মোতি মহলের সঙ্গে দরিয়াগঞ্জের কোনও যোগ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবটা তা নয় বলেই দাবি মোতি মহলের। এক মাসের মধ্যে দরিয়াগঞ্জ রেস্তরাঁকে লিখিতভাবে তাদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, এই মোতি মহল রেস্তোরাঁর প্রথম শাখা ছিল দরিয়াগঞ্জ এলাকাতেই। আর সেই জায়গার নাম দিয়ে রেস্তরাঁর নাম বানিয়ে মানুষের কাছে ভুল বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে দরিয়াগঞ্জ রেস্তোরাঁ, এমনই দাবি মামলকারী পক্ষের। যদিও মোতি মহল ও দরিয়াগঞ্জ দুই রেস্তোরাঁই বছরের পর বছর ধরে দাবি করে আসছে যে তারাই বাটার চিকেন ও ডাল মাখানি আবিষ্কার করেছে।
এদিকে মামলকারী দুই মালিকই এখন আর বেঁচে নেই। আদালতে উপস্থাপিত প্রমাণগুলির মধ্যে ১৯৩০ এর দশকের একটি কালো এবং সাদা ছবি রয়েছে যেখানে দুই বন্ধুকে পেশোয়ারে দেখা যায়। একইসঙ্গে আদালতে ১৯৪৯ সালের অংশীদারিত্বের চুক্তি, দিল্লিতে আসার পরে জগ্গির ব্যবসায়ীক কার্ড এবং ২০১৭ এর ভিডিয়ো যেখানে জগ্গি বাটার চিকেনের উৎস সম্পর্কে কথা বলছেন তাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আগামী ২৯ মে আদালতে পরবর্তী শুনানি হবে। কোথা থেকে কবে এবং কে বাটার চিকেন শুরু করেছিল এই বিতর্কে আদালত রায় দেবে।