এখনও মেটেনি সমস্যা। সূত্রের খবর, লোহার বিম দিয়ে সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে বাঘাযতীনের হেলে পড়া ওই আবাসনকে। ভেঙে যাওয়া পিলারের গোড়ার রডে ঝালাই করে বিল্ডিং এর পাশে সরে যাওয়াকে ঠেকানো হচ্ছে। তবে এই সাপোর্টের জন্য প্রয়োজন আরও লোহার বিম। কিন্তু সামনে রাস্তা সরু হবার জন্য ঠিকঠাক মত যন্ত্রপাতি নিয়ে কাজ করা যাচ্ছে না। ফলে বাড়ি ভাঙার কাজ কার্যত ঢিমে তালেই চলছে।
ভেঙে যাওয়া বিল্ডিংয়েরর পাশের বাড়ির বাসিন্দা সোনিয়া দে বলেন, ‘ছয় দিন ধরে ঘরছাড়া। আর পারছি না। প্রশাসন কাজ করছে ঠিকই কিন্তু কাজ হচ্ছে ধীরগতিতে। প্রতিকূল পরিবেশ মেনে নিচ্ছি তবুও যদি কাজটা একটু দ্রুত করা যায় তাহলে কিছুটা হলেও রেহাই পেতাম। এই টেনশন আর নিতে পারছি না।’
ভেঙে পড়া ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের একজন জানান, ‘প্রোমোটার সুভাষ রায় এর কী হবে ভেবে আমাদের লাভ নেই। আমাদের এখন মাথার উপরে ছাদ দরকার। কোনওভাবে ভাড়া বাড়িতে আছি। মেয়র তো আশ্বাস দিয়েছেন, এখন যেভাবে হোক আমাদের মাথার উপর ছাদ দরকার।’ এর পাশাপাশি অপর এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমার সমস্ত ডকুমেন্টস ভাঙা ফ্ল্যাটের ভিতর আটকে রয়েছে, শুধু প্যান কার্ড আর আধার কার্ডটা আমার মানিব্যাগে থাকে বলে সেটাই শুধু আমি নিয়ে বেরোতে পেরেছি। থানা থেকে ফ্ল্যাটের ডকুমেন্টস চাইছে কিন্তু আমি দিতে পারছি না।’