আরজি করের সেমিনার হল লাগোয়া ঘর ভেঙে শুরু হল সংস্কারের কাজ। কারণ, চিকিৎসকদের রেস্ট রুম নেই। এই অভিযোগের পরই কলকাতা পুরসভা হঠাৎ-ই তৎপর হয় এই রেস্ট রুম বানানোর জন্য। সেমিনার হলের মাত্র ২০০ মিটারের মধ্যে ঘরগুলি ভেঙে চিকিৎসকদের রেস্ট রুম তৈরির কাজ শুরু হল। আর সেই রেস্ট রুম তৈরিকে ঘিরে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। কারণ এই সেমিনার হল থেকেই উদ্ধার হয়েছিল নির্যাতিতার দেহ। সিবিআই তদন্তের আগেই কেন শুরু হল সংস্কারের কাজ তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এমনও অনেকেই ধারনা করছেন, এটা আদতে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা। আর এই সব ইস্যুতেই তৈরি হয়েছে জটিলতা। এর আগেই এই মামলায় পুলিশের গাফিলতি অভিযোগ উঠছিল। যদিও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু সিপি বারবার জানিয়েছেন তদন্ত দ্রুততার সঙ্গে হচ্ছে। এরপর মঙ্গলবার এই মামলা সিবিআইকে হস্তান্তরের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। একইসঙ্গে দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে সিবিআই সেই তদন্ত শুরুর আগেই শুরু হয়ে গেল এই রেস্ট রুম তৈরির কাজ।
সূত্রে খবর, এই মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ৯ তারিখ। এরপর ১০ তারিখ রাত থেকে এই কাজ শুরু হয়। এত তথ্য প্রমাণ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় মহিলা কমিশন এসে এই কাজ দেখে অবাক হয়ে যান। এরপরই কর্তব্যরত এসিপি-কে জাতীয় মহিলা কমিশনের আধিকারিকরা তলব করেন। তখনই তাঁরা ‘স্টপ ওয়ার্ক’ করে দেয়। মহিলা কমিশনের আশঙ্কা এই ভাঙাভাঙির জেরে নষ্ট হতে পারে প্রমাণ। কারণ, সিবিআই-এর কোনও প্রমাণ দরকার হয় তাহলে কীভাবে মিলবে সেটি এ প্রশ্নও ওঠে। আন্দোলনকারীদের তরফ থেকেও জানানো হয়, ‘আমরা প্রথম থেকে দেখছি কলকাতা পুলিশ তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী সাতদিন প্রমাণ চাইছেন। তার মধ্যে তো তথ্য প্রমাণ লোপাট হতেই পারে।’