মদনকে থোড়াই কেয়ার, নিজের অবস্থানে অনড় দেব

রাজনৈতিক এবং সিনে দুনিয়ার সহকর্মী সোহম চক্রবর্তীকে ঘিরে সাম্প্রতিক বিতর্কে মুখ খুলেছিলেন দেব। বন্ধু সোহমের কড়া সমালোচনা করতে ছাড়েননি। যার জেরে তৃণমূলের কালারফুল বয় কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র পাল্টা দাদাগিরির অভিযোগ আনেন দেবের বিরুদ্ধে। দলীয় ব্যপারে বেশি নাক না গলাবার সাজেশানও দেন তিনি।

কিন্তু ২০২৪ এর লোক সভার প্রচারপর্বের শুরু থেকে যেভাবে সৌজন্যতার উদাহরণ তৈরি করেছেন দেব, নির্বাচনের পরেও সেই ধারা অটুট রাখতে মরিয়া টলিউডের এই সুপারস্টার সাংসদ। আর তাই বিপক্ষের সাংসদের মন্ত্রীপদে দায়িত্ব নেওয়ার দিন, শুভেচ্ছা বার্তা জানাতে বিন্দুমাত্র কৃপণতা করেননি তিনি ।

যদিও এই খোলা গলায় উদার মানসিকতা দেখাতে গিয়ে এর আগেও সমস্যায় পড়তে হয়েছিল দেবকে।  শুভেন্দু-মিঠুনের গদ্দার প্রসঙ্গই হোক বা বালুরঘাটের প্রচারে গিয়ে বিজেপির প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারকে ‘ভালোমানুষ’এর দরাজ সার্টিফিকেট দেওয়া, সৌজন্যতার রাজপথে মাথা উঁচু করে হাঁটতে গিয়ে নিজের দলের অন্দরেই প্রবল সমালোচিত হতে হয় ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেবকে।

তবে রাজনীতির ‘চ্যালেঞ্জ’কে পাত্তা না দিয়ে দেব যে তার সৌজন্যতার ‘দাদাগিরি’ চালিয়েই যাবেন সেটা তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রতি পদে। তারই রেশ ধরা পড়ে এবার বঙ্গ থেকে সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী ‘ভালোমানুষ’ সুকান্তদাকে শুভেচ্ছা জানানোর ঘটনাতেও।  সঙ্গে বাংলার আবাস এবং ১০০ দিনের কাজের বকেয়া নিয়ে দাবির কথা প্রতিমন্ত্রীকে মনে করাতেও ভোলেননি এই তারকা সাংসদ! মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের সৌজন্যতায় বাংলার কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির বরাদ্দ টাকা। যথাযথ ভাবে পাওয়ার আশা যে তিনি রাখছেন তাও পরিষ্কার ভাষায় জানান দেব। ফলে সাপও মরল, লাঠিও ভাঙল না, এই পথেই এগোতে দেখা গেল দেবকে।

প্রসঙ্গত, বকেয়া বিতর্কে যেভাবে তার এক কথায় টাকা ছাড়ার কথা সাংবাদিকদের সামনে বলে নিজের ক্ষমতা জাহির করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, সেই পরিপ্রেক্ষিতে পুরোনো কথা মনে করিয়ে দেন দেব।

শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন আগেই, এবার জানালেন সুকান্তকেও। কিন্তু সৌজন্যতার এই যাত্রাপথে দেবের গান্ধিগিরি কি বঙ্গের কেন্দ্রীয় বকেয়া সমস্যার সমাধান করতে পারবে কি না তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে, নিজের দলের মধ্যেই এই নরমপন্থী মানসিকতার কারণে আবার কোনও নতুন সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে দীপক অধিকারী ওরফে দেবকে। তবে মদনের হুঁশিয়ারির পর এমন পদক্ষেপে দেব এও বোঝান, বর্ষীয়ান রাজনীতিক মদন কিছুটা হলেও বোধহয় অপ্রাসঙ্গিক বর্তমান রাজনীতিতে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight − seven =