ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরেই নারায়ণপুরে খুন দেবজ্যোতি

বৃহস্পতিবার সন্ধেয় রাজারহাটের নারায়ণপুরে শ্যুট আউটে প্রাণ যায় দেবজ্যোতি ঘোষ ওরফে টাক বাবাইয়ের। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে নারায়ণপুর থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম সুজয় দাস ও বিক্রম মাহাত। সুজয়ের বাড়ি নারায়ণপুরেরই পার্থনগর লালকুঠি এলাকায়। আর বিক্রমের বাড়ি ইছাপুর নবাবগঞ্জে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, পুরনো ব্যক্তিগত আক্রোশের থেকেই এই গুলি চালানোর ঘটনা। এছাড়া সামনে আসছে টাকা পয়সার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ঝামেলার তত্ত্বও।

উল্লেখ্য, মৃত দেবজ্যোতি ওরফে বাবাই ২০১২ সালে একটি খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হয় বিমানবন্দর থানার পুলিশের হাতে। এই ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজা শোনায় আদালত। এরপর থেকে হাওড়ার সংশোধনাগারে ছিল সে। সম্প্রতি প্যারোলে মুক্তিও পায়। নিয়ম মতো থানায় হাজিরা দিতে যেতে হত তাকে। বৃহস্পতিবারও নারায়ণপুর থানা থেকে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে এই হামলা হয়।

নারায়ণপুর থানার পুলিশ সূত্রে খবর, দেবজ্যোতিকে খুনের অভিযোগে ধৃত সুজয়ও এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী। ২০০৪ সালের বাগুইআটির একটি খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিল সে। এককালে সুজয় ও দেবজ্যোতি একসঙ্গেই কাজ করত বলে জানা যাচ্ছে। দমদম-বাগুইআইটি এলাকায় এককালে ত্রাস ছিল সুজয় আর টাক বাবাই। পরবর্তীতে বখরার টাকা সংক্রান্ত বিষয়ে ঝামেলা শুরু হয়েছিল। সেই থেকেই তক্কে তক্কে ছিল সুজয়। বাবাই প্যারোলে মুক্তি পেতেই খুনের ছক কষে। এরপরই বৃহস্পতিবার সন্ধে সুযোগ বুঝে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় টাক বাবাইকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × three =