প্রয়াত হলেন জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়। এরপর মঙ্গলবার সকালে কলকাতার পিজি হাসপাতালে প্রয়াত হন তিনি। সূত্রে খবর, ফুসফুসজনিত সমস্যা নিয়ে রবিবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। দলীয় নেতার প্রয়াণে শোক জানিয়ে টুইট করেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করেন বিরোধী দলনেতা। বিধায়কের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মাননীয় শ্রী বিষ্ণুপদ রায়ের প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর এই অকাল বিদায়ে বাংলার পরিষদীয় রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এক শূন্যতার সৃষ্টি হল। আমি শ্রী রায়ের আত্মীয়-পরিজন, বন্ধুবান্ধব ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাই।’ প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে প্রথম বার ভোটে জেতেন বিষ্ণুপদ। হারান তৃণমূল প্রার্থী মিতালি রায়কে। সেই প্রথম ধূপগুড়িতে কোনও বিজেপি প্রার্থীর জয়লাভ। সম্প্রতি বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিতে উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় আসেন বিষ্ণুপদ। কিন্তু রবিবার আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। হৃদ্রোগের সমস্যা নিয়ে বিধায়ককে ভর্তি করানো হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। মঙ্গলবার সকালে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হল। বিধায়কের মৃত্যুতে শোকের ছায়া তাঁর নির্বাচনীকেন্দ্র ধূপগুড়িতে।
সূত্রের খবর, বিধায়কের দেহ এসএসকেএম থেকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় বিজেপির মুরলীধর সেন লেনের অফিসে। সেখানে দলীয় সতীর্থরা প্রয়াত বিধায়ককে শেষশ্রদ্ধা জানান। তারপর আনা হয় বিধানসভায়। সেখানে শাসক এবং বিরোধী দলের বিধায়করা তাঁর দেহে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বিধানসভায় পাঠ করা হয় শোকপ্রস্তাব।