দলের মিটিং, মিছিলের মতো কর্মসূচির শেষে দূর দূরান্ত থেকে আসা দলীয় কর্মী সমর্থকদের একেবারে ঘরের ‘দিদি’র মতো কিছু না কিছু পরামর্শ প্রতিবারই দেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এর ব্যতিক্রম হয়নি বুধবারও৷ কারণ, কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলের সময় অঝোরে নেমেছিল বৃষ্টি। আর তাতেই কাকভেজা হন দলীয় কর্মী সমর্থকেরা। আর সেই কারণেই তাঁদের এক জরুরি পরামর্শ দিয়ে রাখলেন তৃণমূল সুপ্রিমো৷ বৃষ্টিতে ভেজার পর যাতে ঠাণ্ডা না লাগে তার জন্য দলের নেতা কর্মীদের তিন টোটকা বলে দিতে শোনা যায় তাঁকে।
বুধবার কলেজ স্কোয়্যার থেকে মিছিল শুরু হয়ে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রায় গোটা পথটাই বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে হাঁটেন মমতা, অভিষেক সহ তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকরা৷ মিছিল শেষে ধর্মতলার সভায় বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ভিন রাজ্যে বাঙালি বিদ্বেষ, ডিভিসি–র জলে রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার মতো অভিযোগে সরব হওয়ার পরও সব শেষে দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি গিয়ে একটা কাজ করতে ভুলবেন না৷ গরম জলে স্নান করবেন৷ আদা দিয়ে চা খাবেন আর একটা অ্যান্টি অ্যালার্জিক ট্যাবলেট খেয়ে নেবেন৷ লড়াইয়ের ময়দান অনেক বড়, সুস্থ থাকতে হবে তো!’
হ্যাঁ, সত্যিই, একুশে জুলাই আসতে আর এক সপ্তাহও বাকি নেই৷ জেলায় জেলায় শহিদ সমাবেশকে সফল করতে প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। এমন এক অবস্থায় দলের নেতাকর্মীরা অসুস্থ হয়ে পড়ুন তা মোটেই কাম্য নয় দলের সুপ্রিমোর কাছে। কারণ, একুশে জুলাই শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে যে সবাইকে উপস্থিত থাকতেই হবে ধর্মতলায়। এই দিনের অনুষ্ঠানে লুকিয়ে থাকে এক অদ্ভূত আবেগ। আর ২০২৬-এর নির্বাচনের জন্য দলকে তিনি তো এদিন পথ দেখাবেন। ফলে সেদিনের অনুষ্ঠানে আসাটা সবার কাছেই খুব জরুরি। আর সেই কারণেই কর্মী, সমর্থকরা বৃষ্টিতে ভিজে কাবু না হয়ে যান, তার জন্য এমনই টোটকা তৃণমূল সুপ্রিমোর।