শনিবার রাতেই রাজ্যে পা রেখেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর রবিবার দিন জুড়ে ছিল একগুচ্ছ কর্মসূচি। নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে সাংগঠনিক সভাতেও ছিলেন তিনি। কিন্তু সেই কর্মসূচিতে ডাক পাননি বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তা নিয়ে খুবই নিঃশব্দে এক আলোড়ন চলছে বঙ্গ রাজনীতিতে। তবে এই বিষয়টিকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছেন না দিলীপ ঘোষ স্বয়ং। বরং তাঁর বার্তা, প্রয়োজনে সবসময়েই দলের পাশে থাকবেন।
এই প্রসঙ্গে রবিবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে সাংবাদিকরা স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন তোলেন অমিত শাহের সভায় আমন্ত্রণ না পাওয়া নিয়ে তিনি ক্ষুন্ন বা মানসিক ভাবে আঘাত পেয়েছেন কি না। উত্তরে দিলীপ ঘোষ জানান, বৈঠকে নেতা-কর্মীদের স্পট নিশ্চিত থাকে। আমি জানি না কতজনকে ডাকা হয়েছে। আমাকে যখন দরকার হবে, ডাকা হবে। আমি দলের মধ্যে, দলের সঙ্গেই আছি।‘ আরও বলেন, ‘আমি কারও সঙ্গে দূরত্ব করিনি, সবার সঙ্গে ঘুরি। কর্মীদের সঙ্গে বসি। আমি কর্মীদের সঙ্গে ঘুরি, চা চক্রে বসি। তিরঙ্গা যাত্রায় বসি।’ সঙ্গে তিনি এও বলেন, ‘আমাকে যে কাজের জন্য যোগ্য মনে হবে, সেটা দেবে। এর আগেও সব সভাতেই যেতাম। কোর কমিটির বৈঠকে ছিলাম। এরম কর্মী বৈঠক আগে হয়েছে। পার্টির সাংগঠনিক রদবদল চলছে। জেলা কমিটি, মণ্ডল কমিটি হয়নি। রাজ্য কমিটি নতুন করে হওয়ার কথা শুনেছিলাম, সেটাও এখনও হয়নি। এবারে হয়তো যারা নতুন পদাধিকারি হয়েছেন, তাঁদের ডাকা হয়েছে।’
এদিকে বঙ্গ রাজনীতিতে এই মুহূর্তে সবথেকে আলোচিত বিষয়, অনুব্রত মণ্ডলের অডিও ক্লিপ। যা ঘিরে অস্বস্তিতে তৃণমূল। বোলপুর থানার আইসিকে কদর্য ভাষায় গালিগালাজ এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে তৃণমূল। এনিয়ে শাসক দলকে তীব্র কটাক্ষ করে দিলীপ বলেন, ‘তৃণমূলের মুখপাত্র বলছেন টিএমসি ব্যবস্থা নেয়, অন্যরা নেয় না। অন্য পার্টিতে এরকম রত্ন নেই, তো কার বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা নেবে। ডজন ডজন রত্ন তৈরি করেছে তৃণমূল। তাঁরা দশ-বারো বছর ধরে অত্যাচার চালাচ্ছে, কেউ এফআইআর করার সাহস নেয় না। সাধারণ মানুষ দেখছে। পুলিশকে যে ভাষায় কথা বলছে, পুলিশ কি এফআইআর নেবে?’ পাশাপাশি এও বলেন, ‘একটা দু’টো মাছ নয়, অনেক মাছ, পুরো পুকুরকে কলুষিত করছে। পুকুরকে ছেঁচে ফেলতে হবে। নাহলে পুকুরে কোনও মাছ থাকতে পারবে না।‘ খুব সত্য কথায়, অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে তৃণমূলের ব্যবস্থা নেওয়াকে ‘লোক দেখানো’ বলেই মনে করছেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ।