এবার আদালতের সামনে এল বেহাল শিক্ষায়তনের অবস্থা। এর আগে স্কুলে শিক্ষক আর ছাত্রের অনুপাত নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে আদালত। এবার সামনে এল স্কুলের বেহাল অবস্থার কথা। কোথাও জল নেই তো কোথাও স্কুলে ঢোকার রাস্তা পর্যন্ত নেই, এমনই অভিযোগ আসছে সামে। দিনের পর দিন পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখালেও কোনও সুরাহা হয়নি। এমন অভিযোগ সামনে আসতেই শুনে উদ্বেগ প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।
সূত্রে খবর, শুক্রবার পশ্চিম বর্ধমানের এক শিক্ষকের করা মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি স্কুলের এমন বেহাল অবস্থার কথা জানতে পারেন। এরপরই রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে স্কুল সংস্কারের টাকা রাজ্যকে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
পশ্চিম বর্ধমানের রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক স্কুলের এক শিক্ষক মামলা করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে। ওই শিক্ষকের পদোন্নতি সংক্রান্ত কিছু জটিলতা থাকায় আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। শুক্রবারের শুনানিতে প্রসঙ্গক্রমে বিচারপতি বিশ্বজিত বসু জানতে পারেন, স্কুল থেকে হস্টেলে যাওয়ার রাস্তা নেই ঠিক মতো, রয়েছে জলের সমস্যা, সুইপার বা স্কুল পরিষ্কার করার কোনও লোক নেই, হস্টেলে স্থায়ী সুপার নেই, নিরাপত্তারক্ষীও নেই। এমনকী আবাসিক পড়ুয়াদের খাবার দেওয়ার জন্য কোনও স্কিম না থাকায় অবাক হয় আদালত।
এর পাশাপাশি বিচারপতি এদিন এও জানতে পারেন, এই বেহাল দশা থেকে মুক্তির জন্য স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন পড়ুয়ারা। এ কথা শুনে বিচারপতি বসু মন্তব্য করেন, স্কুলের শিক্ষক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের সংঘাতের জেরে শিকেয় উঠেছে পড়ুয়াদের পড়াশোনা। এদিকে এই মামলায় রাজ্যের তরফে এদিন আদালতে জানানো হয় যে ইতিমধ্যেই আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের কাছ থেকে স্কুল সংস্কারের জন্য ৮৮ লক্ষ টাকা চেয়েছেন এডিএম। বিচারপতি বিশ্বজিত বসুর নির্দেশ, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্ ওই টাকা দিয়ে দিতে হবে সংশ্লিষ্ট দফতরকে। আদালত সূত্রে খবর, আগামী ১ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।