বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার নিয়ে ফুঁসে উঠলেন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষ। হুঁশিয়ারির সুরে জানালেন, ‘আমরা চাল, ডাল না পাঠালে তো খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।’ এরই পাশাপাশি অবিলম্বে পরিস্থিতি শান্ত না হলে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। প্রসঙ্গত, এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ও জানিয়েছেন, এই ইস্যুতে কেন্দ্রের পাশেই রয়েছে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও দিয়েছেন কড়া বার্তা।
এরপর শনিবার সুর চড়িয়ে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমরা যদি চাল, ডাল পাঠানো বন্ধ করে দিই তাহলে তো খেতে পাবে না। চিকিৎসা থেকে বিয়ের বাজার, সবকিছুর জন্যই ওদের কলকাতায় আসতে হয়। হিন্দুদের উপর নির্যাতন বন্ধ না হলে এবার সীমান্ত অবরোধ করে সব আটকে দেব। তখন দেখব, কত দম্ভ।’ এখানেই শেষ নয়, সঙ্গে এও বলেন, দুই দেশের সরকার সিদ্ধান্ত নেবে পরিস্থিতি কীভাবে আয়ত্তে আনা হবে তা নিয়ে। তবে এভাবে অত্যাচার চললে মুখ বুজে তা মেনে নেওয়া সম্ভব নয় বলেও সাফ জানালেন দিলীপ। উল্লেখ্য, হিন্দু নিপীড়ন নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে শুক্রবার মহম্মদ ইউনুসের নোবেল পুরস্কার কেড়ে নেওয়ার কথা বলেছিলেন বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
ইসকনের সন্ন্যাসী তথা চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের প্রধান চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারি এবং তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ মামলা রুজু করা নিয়ে উত্তাল বাংলাদেশ। তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সে দেশে হিন্দুদের প্রতিবাদ যত বেড়েছে, ততই চরমে উঠেছে পুলিশ ও সেনার দমনপীড়ন। প্রতিবাদী মাত্রই আটক হচ্ছেন। বিশেষত টার্গেট হয়ে দাঁড়িয়েছে হিন্দুদের ধর্মস্থানগুলি। চিন্ময় প্রভুর পর সে দেশে একে একে ইসকনের তিন ভক্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন। সকলে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। প্রতিবেশী দেশের এই অবস্থায় কড়া অবস্থান নিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লির তরফে একাধিকবার সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তায় ইউনুস সরকারকে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও নিজে এ নিয়ে উচ্চপর্যায়ের জরুরি বৈঠক করেছেন।