ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ দিলীপের

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভাইরাল ভিডিয়ো ঘিরে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে বঙ্গ বিজেপি থেকে শুরু করে বঙ্গ রাজনীতিতেও। এই নিয়ে এবার লালবাজারের সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। আর লালবাজারের সাইবার ক্রাইম থানায় তিনি স্পষ্ট অভিযোগ জানান, তাঁর বিরুদ্ধে ক গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। পাশাপাশি তাঁর আর্জি, এই ষড়যন্ত্রের পিছনে কারা রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হোক।

এদিকে সূত্রে খবর, সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, তাঁর সম্মানহানি করতে এবং রাজনৈতিকভাবে কালিমালিপ্ত করতে সোশ্যাল মিডিয়া ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তাঁর বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আর এরই সূত্র ধরে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘এই ষড়যন্ত্রের পিছনে কারা রয়েছেন, তাঁদের চিহ্নিত করা হোক। এবং তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হোক।এরই পাশাপাশি ষড়যন্ত্রকারীদের আইনানুযায়ী শাস্তির আবেদনও জানান তিনি।

এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভাইরাল ভিডিয়ো ঘিরে রাজনৈতিক মহলেও চর্চা শুরু হয়েছে। বিজেপির এক প্রবীণ নেতাকেও এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে। তবে বঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এই ঘটনায় তুলে ধরেছেন বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই। এদিকে এই নিয়ে রাজ্য বিজেপির সদ্য প্রাক্তন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আমি এই ভিডিয়ো দেখিনি। ইন্টারেস্টও নেই। তবে এখনকার টেকনোলজির যুগে কোনও ভিডিয়ো নিয়েই সেই ধরনের বেশি কিছু কথা বলা উচিত নয়। দ্বিতীয় কথা, ব্যক্তিগত জীবনে কে কার সঙ্গে কী করবেন, তাতে আমার উঁকি মারার অধিকার নেই।এরই রেশ ধরে তাঁর প্রশ্ন, ‘দিলীপবাবু অভিযোগ করেছেন কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কি কোনও অভিযোগ হয়েছে? তাহলে এই নিয়ে এত কথা বলার কী আছে?’

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেও দিলীপের দলবদলের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা চলছিল। গত ৩০ এপ্রিল দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের দিন সস্ত্রীক দিঘায় গিয়েছিলেন দিলীপ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সেদিন দেখা হয় তাঁর। মমতার সঙ্গে খোশমেজাজে দেখা যায় সস্ত্রীক দিলীপকে। বিষয়টি যে রাজ্য বিজেপি ভালভাবে নেয়নি, তা বুঝিয়ে দেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। তারপরই বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব অনেকটাই বাড়ে দিলীপের। এরপরই জল্পনা ছড়ায়, ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসের সমাবেশে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতিকে দেখা যাবে কি না তা নিয়ে। তবে বাস্তবে ২১ জুলাই খড়্গপুরে বিজেপির একটি সভায় ছিলেন দিলীপ। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘দিলীপ ঘোষ বিজেপিতে যাবে বলে যাঁরা কর্মীদের বিভ্রান্ত করেছিলেন, তাঁরা ডিমভাত খাওয়া পার্টি।’ একইসঙ্গে দলের একাংশের বিরুদ্ধে সরবও হতে দেখা যায় তাঁকে। তবে কারও নাম তিনি নেননি। এবার দিলীপ অভিযোগ করলেন, রাজনৈতিকভাবে কালিমালিপ্ত করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এবারও কারও নাম নিলেন না তিনি। এখন দেখার তদন্তে কী উঠে আসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × one =