আজ দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভা। কয়েকদিন আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন বিজেপির সব হেভিওয়েটরা। পৌঁছে গিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যও। কিন্তু, দিলীপ ঘোষ যাবেন কি না তা নিয়ে সকাল থেকেই এক অনিশ্চয়তার মেঘ জমছিল বঙ্গ রাজনীতিতে।কারণ, এই জনসভায় দিলীপ ঘোষ যাবেন কি যাবেন না সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছুই জানা যাচ্ছিল না। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধেয় এল পাকা খবর। শুক্রবারের সভায় যাবেন না দিলীপ। সঙ্গে এও জানান, পার্টিকে তিনি বিড়ম্বনায় ফেলতে চান না। তবে সঙ্গে এও জানান, মেদিনীপুর জোনে সভা হলে তিনি যাবেন। কিছুদিন আগেই এসেছিলেন আলিপুরদুয়ারে। ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে দলের নেতা–কর্মীদেরউদ্দেশ্যেএকজোটহয়েলড়াইয়েরডাকওদিয়েছিলেন।এবারফেরআসছেন।এভাবে সত্যিই দলকে একোজট করে লড়াইয়ের ডাক দিচ্ছেন না আদতে এক অদৃশ্য বিভাজন রেখা তৈরি হচ্ছে বঙ্গ বিজেপিতে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে এক বিরাট প্রশ্নচিহ্ন।
প্রসঙ্গত, শেষ লোকসভা নির্বাচনে এই দুর্গাপুর থেকেই দিলীপ ঘোষকে টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। কীর্তি আজাদের সঙ্গে জোরাল টক্কর হলেও শেষবেলায় নিরাশ হয়েই ফিরতে হয়েছিল দিলীপকে। যদিও চেনা গড় মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে তাঁকে সেখান দাঁড় করানো নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি।
তবে দিলীপ ঘোষের এই না যাওয়া নিয়ে আমজনতার একাংশের ধারনা, আদতে বঙ্গে বিজেপি কিছুই করে দেখাতে চাইছে না। সেই কারণেই বিজেপির সবথেকে জনপ্রিয় নেতাকে দূরে সরিয়ে রাখা হচ্ছে। খুব স্পষ্ট ভাবে বলতে গেলে বঙ্গে বিজেপির উত্থান কিন্তু এই দিলীপ ঘোষের আমলেই। আর সুকান্ত মজুমদার রাজ্য বিজেপি সভাপতি হওয়া এবং শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর থেকে দলের বিভিন্ন কর্মসূচি থেকে বাদ দেওয়া হতে থাকে দিলীপ ঘোষকে। তার নিট রেজাল্ট ধরা পড়েছে ২০২৪–এর লোকসভা নির্বাচনে।নিজেদের অনেক জায়গা খোয়াতে দেখা গিয়েছে এই বিজেপিকে।আর এখানেই অনেকে কটাক্ষ করে ফের সামনে এনেছেন সেই বিজেমূল তত্ত্ব।
এদিকে দুর্গাপুর যাওয়া নিয়ে গত মঙ্গলবার মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল দিলীপ ঘোষকে। স্পষ্ট বলেছিলেন, ‘শেষ নির্বাচনের সময় অনেক জায়গায় সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আমি তখন নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আগে আলিপুরদুয়ারে এসেছিলেন, কিন্তু অত দূরে যাওয়া সম্ভব ছিল না। কর্মীরা ডেকেছে আমাকে দুর্গাপুরে। সেখানে চলে যাব। সবার জন্য কোনও আমন্ত্রণপত্র হয় না। হাজার হাজার লোক আসবে। জানাবেন মিডিয়ায় জেনে লোক আসবে, পার্টির কর্মী এমন ভাবেই আসবে, আমিও যাব।’